দিঘলিয়া প্রতিনিধি : দিঘলিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এড. লুৎফর রহমান (৫৫) ও তাঁর মেয়ে লতা (২০) সন্ত্রাসীর হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন।
জানা যায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলা মোড় নিবাসী এড. লুৎফর রহমানের বাড়ির সামনে খুঁটি পোতার সময় তার মেয়ে বাঁধ সাধলে স্থানীয় আল আমীন তার মেয়ে লতার উপর চড়াও হয়। তাকে এলোপাথারী ধাক্কা, কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এ অবস্থা দেখে লতার পিতা এড. লুৎফর রহমান তাকে উদ্ধারে এগিয়ে এলে আল আমিন তাকে শাবল দেয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
দিঘলিয়া থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে এড. লুৎফর রহমানের ছোট ভাই ও আল আমিনকে থানায় নিয়ে যায়। পরে একটি মহলের তদবীরে আল আমিনকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে এড. লুৎফর রহমান জানান, শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। তিনি এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আল আমিন তার মেয়ের উপর প্রথমে হামলা করে। আমি এগিয়ে গেলে আলআমিন আমাকে শাবল দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। আমি ও আমার মেয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছি। আমি আইনের আশ্রয় নিব।
এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানা ওসি রিপন কুমার সরকার এ প্রতিবেদককে বলেন, দুই পক্ষে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মারামারি করে। কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। কেউ অভিযোগ দেয় নি। অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে সন্ত্রাসী হামলা ও হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন, শফিকুল ইসলাম মধু, এম হাদিউজজামান, ডা: সৈয়দ আবুল কাসেম, মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, ইসমাইল খান টিপু প্রমুখ। এ ব্যাপারে দিঘলীয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।