ঢাকা অফিস :
বিখ্যাত ও সুমিষ্ট আমের স্বাদ নিতে আগ্রহী মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাক; সেই সাথে আমদানি করতে চায় বাংলাদেশের আলুসহ বিভিন্ন মৌসুমি সবজি। বুধবার ঢাকায় সচিবালয়ে ইরাকের রাষ্ট্রদূত আব্দুল সালাম সাদ্দাম মোহিস কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে এ আগ্রহের কথা জানান।
বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, “এক সময়কার সেক্যুলার আরব রাষ্ট্র ইরাক ছিল বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধুরাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা ছিল বাংলাদেশের অন্যতম স্বীকৃতিদানকারী।”
“মাঝে যুদ্ধবিগ্রহের কারণে অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হলেও এখন আবার সম্প্রতি সবকিছু ভালো হচ্ছে। এখন তেল রপ্তানি করে তারা মাসে ৮ বিলিয়ন ডলার আয় করে। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক ভালোর দিকে।“
বাংলাদেশ থেকে শাকসবজি-ফলমূল আমদানিতে ইরাকের আগ্রহ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমের মৌসুমে আম নিতে তারা বেশি আগ্রহী। এমনকি তারা বাংলাদেশের আলুও আমদানি করতে চাইছে।”
আলু রপ্তানিতে বাংলাদেশের ‘কোনো সমস্যা নেই’ মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘রপ্তানি করার মত পর্যাপ্ত’ আলু বাংলাদেশ এখন উৎপাদন হচ্ছে।
সবজি রপ্তানি প্রক্রিয়া শুরু করতে ‘স্বল্প সময়ে’ দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।
ঢাকার পূর্বাচলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি অ্যাক্রেডিটেশন কৃষিল্যাব স্থাপনে সহায়তা দেওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি সংস্থা ইউএসডিএ।
বুধবার ইউএসডিএ প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও কৃষিমন্ত্রীর পৃথক বৈঠক হয়। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বৈদেশিক কৃষি সার্ভিস অ্যাটাশে মেগান ফ্রান্সিস প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠক শেষে আবদুর রাজ্জাক বলেন, পূর্বাচলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুই একর জমি রয়েছে। সেখানে আন্তর্জাতিক মানের স্বীকৃত একটি কৃষি ল্যাব স্থাপন করা হবে। ইউএসডিএ সেখানে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
“এছাড়া আম ও লিচুর মতো পচনশীল ফলমূল উৎপাদনকারী কৃষকদের সাথে তারা সহযোগিতামূলক কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছে। আগামী মৌসুমে লিচু পরিবহনে তারা ফ্রিজিংভ্যান দিয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করবে।”