ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, দেশের বৃহৎ জনগোষ্টির ১১ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মৎস্য সংক্রান্ত পেশার সাথে জড়িত। মৎস্য চাষ আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। দক্ষিণাঞ্চলের সাদা সোনা বলে খ্যাত গলদা চিংড়ি রপ্তানীর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে। কতিপয় লোভী মুনাফাখোরের কারণে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুষ করে রপ্তানীকে বাধাগ্রস্থ তথা দেশের সুনাম খুন্ন করতে না পারে সে জন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে। মৎস্য চাষের মাধ্যমে চাষিরা যেমন স্বাবলম্বী তেমনি দেশকেও সমৃদ্ধিশালী করতে সরকার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৭ উদযাপন উপলক্ষে খুলনার ফুলতলা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা ও শ্রেষ্ঠচাষীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ইউএনও মাশরুবা ফেরদ্যেসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক রনজিত কুমার পাল. উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেথ আকরাম হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য অভিজিৎ চন্দ্র চন্দ, মৎস্য অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় সহকারী পরিচালক মনেশ কুমার মন্ডল। স্বাগত বক্তৃতা করেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্যা এমদাদুল্লাহ। সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা এটিএম তৌহিদুর রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ওসি মোঃ আসাদুজ্জামান মুন্সী, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সুষেন হালদার, কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ রীনা খাতুন, আওয়ামীলীগ নেতা মৃনাল হাজরা, রিপোর্টার্স ক্লাব সভাপতি তাপস কুমার বিশ্বাস, সম্পাদক মোঃ সেকেন্দার আলী রাজু, উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি শামসুল আলম খোকন, সাংবাদিক নেছার উদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সফল গলদা-কার্প মিশ্রচাষে মীর রাশেদ ও মোঃ মাসুদুর রহমান, গলদা চিংড়ি চাষে সাধন সরকার, রুই মাছ চাষে আঃ সালাম মোল্যা, কৈ শিং মাগুর চাষে মোঃ বাবুল আক্তার, রুই জাতীয় পোনা উৎপাদনে ইকবাল গাজী, কার্প জাতীয় মিশ্র চাষে মাজেদ আলী ও আশরাফ সরদার, মান সম্মত খাবার উৎপাদনে জয় ফিড লিঃ এর মুজিবর রহমান শামীম এবং মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে সংগঠক হিসাবে সামিউল আলমকে ক্রেষ্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। এর পূর্বে এক বর্ণাঢ্য র্যালী শেষে উপজেলা পরিষদের পুকুরে প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ মৎস্য পোনা অবমুক্ত করেন।