দেশে নতুন করে আরও একজন করোনা রোগী শনাক্ত

প্রকাশঃ ২০২০-০৩-৩০ - ১৮:০৪
ঢাকা অফিস : গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও একজনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা না বাড়লেও বেড়েছে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা। দেশে নতুন করে আরও একজনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর। এর ফলে, দেশে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৯ জনে দাঁড়ালো।

সোমবার রাজধানীর মহাখালী থেকে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এসব তথ্য জানান।

অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা আইডিসিআর-এর হটলাইনে মোট কল পেয়েছি চার হাজার ৭২৫টি। এর সবই কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পরামর্শের জন্য। গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা ১৫১টি নমুনা পরীক্ষা করেছি। এর মধ্যে তিন হাজার ৯৯৭টি কোভিড ১৯ সংক্রান্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছি ১৫৩টি। এর মধ্যে অন্যান্য যেসব জায়গায় সম্প্রসারণ করা হয়েছে সেসব ল্যাবরেটরিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সর্বমোট এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩৩৮টি। এর মধ্যে আমরা এ পর্যন্ত রোগীর করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত করেছি ৪৯টি। অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় আরো একজনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নতুন করে যিনি আক্রান্ত হয়েছেন তিনি একজন মহিলা, তার বয়স ২০ বছর। এছাড়া সারাদেশে মোট ৩২ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এবং ২৮৩ জন আইসোলেশনে আছেন।

 তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় সুস্থ হয়ে আরও চারজন বাড়ি ফিরে গেছেন। এনিয়ে মোট ১৯ জন এ রোগ থেকে সুস্থ হয়েছেন, তাদের মধ্যে তিনজন ষাটোর্ধ এবং একজন ৮০ বছর বয়সি। সুস্থদের মধ্যে একজন চিকিৎসক এবং নার্স রয়েছেন।

আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, নমুনা সংগ্রহ করে যেসব পরীক্ষা করা হয়েছে তাতে আইইডিসিআর, জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান এবং চট্টগ্রামে অবস্থিত বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড  ইনফেকশাস ডিজিসেস (বিআইটিআইডি)-এর তথ্য সংযোজিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, যে ৩৬ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ছিলেন গতকাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে করোনা সংক্রমণ না থাকায় তাঁদেরকে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। এখন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩২ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে গেছেন ছয়জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন মোট ৬২ জন। এ পর্যন্ত সর্বমোট ২৮৩ জনকে আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে।