ইউনিক ডেস্ক : ১৫ বছর নির্বাসনে কাটানোর পর দেশে ফিরেই গ্রেফতার হলেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রা। বিমানবন্দরে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় অবতরণের পর তাকে দ্রুততায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে জেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
এতে বলা হয়, দুবাই থেকে সিঙ্গাপুর এসে সেখান থেকে একটি প্রাইভেট বিমানে করে ব্যাংককের ডন মুয়েং বিমানবন্দরে অবতরণ করেন টেলিযোগাযোগ ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক থাকসিন। বিমানবন্দরে অবতরণের পর তিনি রাজা ও রানীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপরই তাকে পুলিশি প্রহরায় নিয়ে যাওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অন্যান্য ফৌজদারি অপরাধে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। তিনি এসব অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন। ওদিকে পারিবারিক একটি ছবি ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করেছেন তার কন্যা পায়েটোংটার্ন শিনাওয়াত্রা।
তাতে তিনি লিখেছেন, থাইল্যান্ডে স্বাগতম ড্যাডি। এর মধ্য দিয়ে তিনি আইনি প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করলেন। তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ব্যাংককের একটি কারাগারে।
সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে বলেছে, তাকে মোট আট বছর জেল খাটতে হবে। গ্রামীণ থাই নাগরিকদের কাছে জনপ্রিয় এই নেতা ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসেন। দেশটির গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে দীর্ঘদিন ধরে অবজ্ঞা করে আসছিলেন ক্ষমতাসীন অভিজাতরা। সেই সব মানুষের কাছে ভরসার আশ্রয় হয়ে উঠেছিলেন থাকসিন। নির্বাচনে তিনি ভূমিধস জয় পান। কিন্তু ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি যখন নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে ভাষণ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন দেশে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে। ক্ষমতা কেড়ে নেয় সেনাবাহিনী। তারা থাকসিন শিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে। তিনি চালু করেছিলেন মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। তাতে অনেক মানুষ মারা গেছেন। এ ছাড়া তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়।
২০০৮ সালে তিনি নির্বাসনে চলে যান। বেশির ভাগ সময় কাটান দুবাইয়ে।