বিজ্ঞপ্তি :
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, দলে কোন বির্তকিতদের স্থান হবে না। বিতর্কিতরা সব সময়ই নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে দলের মধ্যে বিশৃংখলার সৃষ্টি করে। যারা দু:সময়ে অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে দলকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এনেছে তাদের সামনে রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত নানাবিধ ষড়যন্ত্র চালিয়ে দেশকে অশান্ত করার অপচেষ্টা করছে। দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে সকল ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। আর সেজন্যে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
সোমবার দুপুর ১২টায় দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ সৈয়দ আলীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বন্দের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মাকসুদ আলম খাজা, নির্বাহী সদস্য মোজাম্মেল হক হাওলাদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মোশাররফ হোসেন, মনিরুজ্জামান খান খোকন, প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম, মফিজুর রহমান জিবলু, মো. শাহাদাৎ হোসেন মিনা, আসিফুর রশিদ, আব্দুর রউফ মোড়ল, মফিজুর রহমান হিরু, শেখ কওসার আলী, জাফর ইকবাল মিলন, হারুন অর রশীদ হাওলাদার, শেখ ওহিদুজ্জাম্মান, মাকসুদ হাসান পিকু, আবু জাফর মিয়া, শেখ রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় থানার ৬টি ওয়ার্ডের কমিটি চূড়ান্তভাবে যাচাই বাছাই শেষে ওর্য়াার্কিং কমিটিতে অনুমোদনের জন্য প্রেরণের সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু কিশোর দিবস উপলক্ষে ১৫ মার্চ দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে থানার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে “বঙ্গবন্ধুকে জানো” শিরোনামে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধকরণ গণসংযোগের সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় ১৭ মার্চ হতে ৩১ মার্চ পর্যন্ত থানা এবং সকল ওয়ার্ড কার্যালয় আলোকসজ্জা থাকবে। ১৭ মার্চ সকাল সাড়ে ৭টায় থানা এবং থানার সকল দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হবে। সকাল ১০টায় দলীয় কার্যালয় হতে র্যালি শুরু করে বিএল কলেজে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন।
১৭ মার্চ হতে ২৩ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জীবন আলেখ্য নিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা সভার সিদ্ধান্ত হয়।