ধামালিয়া ফারাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০২৩-০৩-১৩ - ১১:৪৪

খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি : ডুমুরিয়ার ধামালিয়া ফারাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি স্কুলের একটি নিয়োগে মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ করেছে নিয়োগ না পাওয়া প্রার্থী ও এলাকাবাসী। তাদের দাবি চাহিদা মতো টাকা দিতে না পারায় তাদেরকে বাদ দিয়ে অযোগ্য ব্যক্তিদের অর্থের বিনিময়ে স্কুলের শূন্যপদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনির পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চরম অনিয়ম ও আয়াপদে দীর্ঘ ১৬বছর শ্রম দেওয়া এসএসসি পাশ আসমা খাতুনকে নিয়োগ না দেওয়ার প্রতিবাদে এবং প্রশ্নবিদ্ধ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনসহ আন্দোলন কর্মসুচি নিয়ে মাঠে নেমেছে এলাকাবাসী। ভুক্তভোগী বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান না হলে আইনের আশ্রয় নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়ার ধামালিয়া ই্উনিয়নের ধামালিয়া ফারাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কিছু শূন্য পদে নিয়োগের জন্য গত ৮ জুলাই স্থানীয় একটি পত্রিকায় পুন:নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যালয়ের শূন্যপদে ১জন প্রধান শিক্ষক, ১জন অফিস সহায়ক, ১জন আয়া, ১জন নিরাপত্তা কর্মী ও ১জন পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগের কথা বলা হয়। গত ৪ মার্চ বিদ্যালয়ের এই চারটি পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় আয়া ও নিরাপত্তাকর্মী পদে ব্যাপক অনিয়েমের অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী। তাদের দাবি চাহিদা মতো টাকা দিতে না পারায় তাদেরকে বাদ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে চতুর্থ শ্রেনির পদগুলোতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গত শনিবার ধামালিয়া এলাকার ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গিয়ে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বমহলে এই আলোচনা-সমালোচনা করতে দেখাগেছে বিভিন্ন শ্রেনি-পেশার মানুষের মাঝে।

এ বিষয়ে অভিযোগের তীর যার দিকে সেই ফারাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি মো: আবদুল হালিম বিশ্বাসের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি সম্পূর্ণ বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কারো কাছে কোন টাকা চাওয়া হয়নি আর টাকা চাওয়ার কোন অপসন নেই। অভিযোগকারী আসমা বেগমের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দেড় বছর বিদ্যালয়ের কমিটির দায়িত্বে এসেছি, আসমা খাতুন এখানে কাজ করতেন ভলেন্টিয়ান হিসাবে তাকে কোন অস্থায়ী নিয়োগের ভিত্তিতে নেওয়া হয়নি। বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে আমি যে কাউকে ভলেন্টিয়ার সার্ভিস হিসাবে কাজে নিতে পারি। তিনি সদ্য শেষ হওয়া নিয়োগ প্রক্রিয়া সুষ্ট ও স্বচ্ছা হয়েছে বলে দাবি করেন। এ বিষয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দেবাশীষ কুমার মন্ডল মুঠোফোনে জানান, এ ধরণের অভিযোগের বিষয়ে আমার জানা নেই। নিয়োগ পরীক্ষাটি স্বচ্ছ হয়েছে পরীক্ষার ভিতরের অংশে কোন ধরনের অস্বচ্ছতা বা অনৈতিক কিছু হয়নি। তিনি বলেন নিয়োগ বিধি মেনেই নিয়োগ পরীক্ষাসহ সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।