মাসুদ তাজ, অভয়নগর (যশোর): নওয়াপাড়ায় ১২ জন ভ্রাম্যমান মাদক ব্যবসায়ী এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকায় পৌর এলাকায় মাদকের বিস্তার বেড়ে চলেছে। এদের ভয়াবহ ছোবলে প্রতিনিয়ত মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে স্কুল ও কলেজের কোমলমতী শিক্ষার্থীরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে চিহ্নিত এ ১২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন এলাকাবাসী। নাম প্রকাশে অনচ্ছিুক নওয়াপাড়া প্রফেসরপাড়া ও নূরবাগ গরুহাটা এলাকার কয়েক মাদকসেবী জানায়, আগে মাদক কিনতে বিভিন্ন পয়েন্টে যেতে হতো তাদের। বর্তমানে নওয়াপাড়া পৌরসভার চিহ্নিত এ ১২ জন মাদক ব্যবসায়ী হলেন, পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের বৌ-বাজার এলাকার মৃত নূর ইসলামের ছেলে মাদক সম্রাট শহিদুল ও মোহাম্মদ আলী, গুয়াখোলা প্রফেসরপাড়ার তুর্জ, নূরবাগ টেকার স্ট্যান্ডের সবুজ ও নান্নু, গরুহাটার রুবেল, আনজু এবং তার ২ ছেলে রহিম ও সুমন, একই এলাকার রানা, মনিরুল ও আরিফ এর নিকট মোবাইল ফোনে ফেন্সিডিল, ইয়াবা ট্যাবলেট ও গাঁজার পরিমান ও স্থান উল্লেখ করলে তা পৌছে দিচ্ছে ভ্রাম্যমান এ ব্যবসায়ীরা। গুয়াখোলা প্রফেসরপাড়ার কয়েকজন মাদকসেবী জানান, তাদের এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা হাতের নাগালে মাদক পেয়ে খেলাপড়া ছেড়ে মাদক ব্যবসায়ী তুর্জর বন্ধু হতে ব্যস্থ হয়ে পড়ছে। জানা গেছে, তুর্জ তার ব্যবহৃত গোপন একটি মোবাইল নম্বার বিভিন্ন মাদকসেবীদের দিয়ে রেখেছেন। ফেন্সিডিল, ইয়াবা ও গাঁজা পরিমান মত চাইলে তুর্জর মোবাইলে বিকাশ করে দেওয়ার পর নির্দিষ্ট স্থানে পৌছে দিয়ে আসছে। অপরদিকে বৌ-বাজারের মাদক সম্রাট শহিদুল ও তার ভাই মোহাম্মদ আলীও একই পদ্ধতি অনুসরণ করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সবুজ, নান্নু, রুবেল, আনজু, রহিম, সুমন, রানা, মনিরুল ও আরিফ তাদের মাদক ব্যবসার কৌশল পরিবর্তন করে ভ্রাম্যমান ভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে মাদক ব্যবসায়ী ভ্রাম্যমান এ চক্রটি প্রকাশ্যে নওয়াপাড়া বাজারের বিভিন্ন চায়ের দোকান সহ কখনও রাজঘাট, তালতলা, ভাঙ্গাগেট অথবা বাঘুটিয়া বা শ্রীধরপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যাচ্ছে। গোপন সূত্রে জানা গেছে, ভ্রাম্যমান এ মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রাহকদের মোবাইল কল পেলেই মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল বা ইজিবাইকে করে ছুটে গিয়ে মাদক সরবরাহ করছে। ভুক্তভোগী পরিবার ও মাদকসেবীরা যশোর জেলা পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান ও অভয়নগর থানার ওসি শেখ গণি মিয়া সহ মাদক বিরোধী সকল দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিকট আহাবান, ভ্রাম্যমান ১২ জন মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করলে নওয়াপাড়া শহর থেকে মাদকের বিস্তার ও ভয়াবহতা অনক আংশে কমে যেতো। এলাকাবাসী মুক্তিপেতো বহিরাগত সন্ত্রাসী, ছোট-বড় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা থেকে।