নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলে জিয়া পরিষদের জায়গা দীর্ঘ ১৫ বছরের অবৈধ দখল মুক্ত হয়েছে। সদর উপজেলার গোবরা বাজারে জিয়া পরিষদের নামে দলিলকৃত জায়গা রয়েছে। এ জায়গা দীর্ঘ ১৫ বছর অবৈধ ভাবে দখলে রেখেছিলেন নড়াইল সদরের বাহিরগ্রামের আব্দুল হক ও ফাতেমা দম্পতি। অভিযোগে গোবরা বাজার বণিক সমিতির আহবায়ক সুলতান মোল্যাসহ জিয়া পরিষদের কর্মকর্তারা জানান, ২০০৪ সালে গোবরা-গোয়াইলবাড়ির বাসিন্দা নজরুল মোল্যা কবলা দলিলমূলে জিয়া পরিষদের আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যে দশমিক ৩৩৩ শতক জমি দান করেন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই জমি অবৈধ ভাবে দখল করে নেন সদরের বাহিরগ্রামের বাসিন্দা ফাতেমা বেগম ও তার স্বামী আব্দুল হক। সেই থেকে তারা ১৫ বছর ভোগদখল করে আসছেন। গত ৫ আগস্ট আ’লীগ সরকার পতনের পর স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জিয়া পরিষদের জায়গা এবং কার্যালয় উদ্ধারে তৎপর হন। আইন-শৃংখলাবাহিনী বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় বাজার বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দকে দায়িত্ব দেন। আইন-শৃংখলাবাহিনীর নির্দেশনা মোতাবেক দু’পক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে বিষয়টি মীমাংসার জন্য গত ৪ অক্টোবর দিন ধার্য করেন বণিক সমিতির আহবায়ক সুলতান মোল্যাসহ সদস্যরা। তবে স্বামীর অসুস্থতার কথা জানিয়ে ফাতেমা বেগম মিমাংসার জন্য ডাকা নির্ধারিত দিন (৪ অক্টোবর) সভায় হাজির হননি। সভায় উপস্থিত বিভিন্ন পেশার মানুষ অবৈধ দখলে থাকা জিয়া পরিষদের জমি ও কার্যালয় উদ্ধারে একমত পোষণ করেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সবাই।
সভায় উপস্থিত ছিলেন-গোবরা বাজার বণিক সমিতির আহবায়ক সুলতান মোল্যা, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অশোক কুন্ডু, ভদ্রবিলা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাজী রকিব উদ্দিন সেন্টু, ইউপি চেয়ারম্যান সজিব মোল্যা, মেম্বার তৈয়েবুর রহমান, সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কবির হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ বাবু মোল্যা, বণিক সমিতির সদস্য আতিয়ার রহমান, আবুল কালাম, জসিম মোল্যা, সাবেক ইউপি সদস্য নাজমুল মোল্যা, তৌহিদুর রহমানসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।
এ ঘটনায় বাবু মোল্যা বাদী হয়ে সদর থানায় অভিযোগও দিয়েছেন। তিনি বলেন, ফাতেমা বেগম জিয়া পরিষদের যে জায়গাটি অবৈধ ভাবে দখল করে আছেন তার তফসিল-৯৭ নং গোয়ালবাড়ী মৌজা, গোবরা বাজার নড়াইল। খতিয়ান নং-৩৫৯, সাবেক দাগ নং-৭৩১, হাল ১০৮৫, জমির পরিমান ২০ শতকের মধ্যে ১ শতকের ৩ এর ১ অংশ। এ ব্যাপারে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টার দিকে এই জমি ছেড়ে দেয়ার কথা বললেও দখলদাররা অবৈধ ভাবে তা ভোগ-দখল করছেন। আমাদের দলীয় ব্যানারও ছিঁড়ে ফেলেছে।
তবে অভিযুক্ত ফাতেমা বেগম বলেন, আমার স্বামী হঠাৎ করে অসুস্থ হওয়ার কারণে নির্ধারিত সভায় আসতে পারেনি। তিনি জমি দখল করেননি বলেও দাবি করেন।