মিজানুর রহমান সোহেল নবীগঞ্জ থেকে ॥ হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষক সংকটের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম দিন দিন ব্যাহত হচ্ছে । এমনকি দীর্ঘদিন যাবত ওই উপজেলার ৪৩টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক বিহীন থাকায় শিক্ষার মান নিয়ে উদ্বিগ্ন সচেতন মহল।এ ছাড়া সহকারী শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে ৭৩টি। সব দিক মিলিয়ে উপজেলার ১শত ৮২ টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১শ ১৬টি বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জান গেছে ওই উপজেলায় প্রায় পৌনে তিনশ গ্রামের মধ্যে ১৪ টি গ্রামে এখন পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়নি। এসব গ্রামের কোমলমতি শিশু- কিশোররা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। নবীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে ,ওই উপজেলায প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১শ ৮২টি। এসব বিদ্যালয়ে বর্তমানে (চলতি) বছরে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় অর্ধলক্ষ। এমন ও দেখা গেছে কোন কোন বিদ্যালয়ে একজন বা দ,ুজন শিক্ষক থাকায় তাদের পক্ষে এক সঙ্গে তিনটি ক্লাস নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। দায়িত্বরত শিক্ষকের ক্লাস ছাড়া ও তাদের দ্বারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশু জরিপ, উপবৃত্তি তথ্য সংগ্রহ সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের নানা তথ্য সংগ্রহ কাজের ব্যস্ত থাকতে হয় তাদের । শুধু তাই নয় শিক্ষকদের দক্ষতা অর্জনের বিভিন্ন ধরণের ট্রেনিং(প্রশিক্ষনে) অংশ নিলে প্রতিষ্টানের পাঠদান ঠিকমতো না হওয়ায় অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষর্থীরা আসা বন্ধ করে দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা। একদিকে যেমন শিক্ষক সংকট,অন্যদিকে যারা প্রতিষ্টানে আছেন তারা নিয়মিত পাঠদান না করায় শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্বকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান সচেতন মহল। আরো জানা গেছে অনেক নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়ি অন্য জেলায় ও উপজেলায় হওয়ায় তারা নির্ধারিত সময়ে স্কলে পৌছা সম্ভব হচ্ছে না । সম্প্রতি সময়ে বদলীর জটিলতা খোলার পর শিক্ষকরা তাদের সুবিধাজনক স্কুলে যাবার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসে ধর্ণা দিতে গিয়ে তারা ঘন্টার পর ঘন্টা সময় অতিবাহিত করতে হচ্ছে । ফলে পাঠদানে ব্যাহত হচ্ছে এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সহকারী শিক্ষক জানা, প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য থাকায় প্রায়ই প্রতিষ্টানের কাজে উপজেলা শিক্ষা অফিসে যেতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাকের সাথে আলাপ কালে, তিনি জানান নবীগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে ৪৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শুণ্য রয়েছে। তাদের তালিকা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে । এবং অনেকটা পদোন্নতির প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এবং ১৪ টি গ্রামে বিদ্যালয় বিহীন এর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একাধিকবার সভায় আলোচনা করে তালিকা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে।