বরিশাল অফিস : ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার পশ্চিম কামদেবপুর গ্রামে মানছুরা বেগম (২৩) নামে এক তরুনী শ্লীলতাহানি ও মারধর করার অপমান সহ্য করতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। ওই তরুনী এখন অসুস্থাবস্তায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
জানাযায়, উপজেলার পশ্চিম কামদেবপুর গ্রামের মো. মজিবর আকন এবং তার প্রতিবেশী মো. রফিক হাওলাদারের সঙ্গে র্দীঘদিন পারিবারিক বিরোধ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার মজিবর আকনের পুত্র নিহাদ আকন প্রতিবেশীর বাগান থেকে কয়েকটি সুপারি পাড়ে। এ নিয়ে রফিক হাওলাদারের স্ত্রী শাহিনুর বেগম ও নিহাদ আকনের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়। এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার বিকেলে নিহাদ আকনকে বাড়ি সংলগ্ন রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে যান রফিক হাওলাদরের বাড়িতে। সেখানে নিয়ে নিহাদ আকনকে অকথ্য নির্যাতন চালকালে ভাইকে বাচাঁতে ছুটে যান বোন মানছুরা বেগম। এসময় মানছুরা বেগমের উপর শারীরিক নির্যাতন এবং শ্লীলতাহানী করে। এঘটনায় লজ্জা ও ভয়ে নিজ বাড়িতে এসেই বিষপান করে। এসময় গুরুতর আহতাবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবিষয় ওই তরুনীর বাবা মজিবর আকন জানান, আমার ছেলে ও মেয়েকে মারধর এবং অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছেন। যাহা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। মেয়ে লোকলজ্জায় বিষ পান করে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন। অন্যদিকে রফিক হাওলাদার জানান, আমার ঘরে বসে কোন মারধরের ঘটনা ঘটেনি। আমাদের গাছের সুপারি পাড়া নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়েছে। নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ আশ্রাব আলী জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।