নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেও নির্যাতিত বাশঁখালির নিলু আক্তার

প্রকাশঃ ২০২১-০৭-২৮ - ২১:৪০

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেও নির্যাতিত বাশঁখালির নিলু আক্তার বিচার পান নাই। আবার অনেক মামলা আছে, যেখানে সঠিক তদন্ত ও সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে। সরকারের উচ্চ মাধ্যমে বিচার চেয়েও অনেক কমই নজির আছে সুবিচার এর। তেমনই এক ঘটনার অবতারণা চট্টগ্রামের নিলু আক্তারের । বিস্তারিত ডেস্ক রিপোর্ট ।

উক্ত মামলার বাদী নিলু আক্তার। তিনি চট্টগ্রামে নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছিলেন। সে মামলার তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন পিবিআই অফিসার আবু হানিফ কে। কুলসি চট্টগ্রামে অফিস তাদের। তার মোবাইল নাম্বার ০১৮২০৫৬৯৮৬৬ এই নাম্বারে ফোন করে তার অফিসে বাদীর ছেলে সোহেল কে যেতে বলা হয়। বাদীনি নিলু আক্তার এর ছেলে সোহেল তার কথা মত গেলো। সেখানে বলা হল, তোমার মা কে যে নির্যাতন করেছে, তার মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে আস। সোহেল মেডিক্যালে গিয়ে সার্টিফিকেট নিয়ে আসলো। আসার পরও আবার 1000 টাকা (উতকোচ) চাইলো আবু হানিফ। টাকা দেওয়ার পরও এই অসহায় পরিবার রেহাই পেল না। তাদের বিরুদ্ধে উল্টা প্রতিবেদন দিলো। আসামিপক্ষ এমন প্রতিবেদনে হতাশ সগতের পরিবার । সুদি শমশুর অত্যাচারে এলাকার মানুষ দিশাহারা। টাকা খেয়ে উল্টা মামলার প্রতিবেদন দিলো । মামলা করার পর যখন তার পক্ষে টাকার বিনিময়ে রিপোট আনলো সুদি শামশু। তারপর থেকে আবারো অসহায় পরিবারকে অত্যাচার এর পর অত্যাচার চলতে লাগল। নিরুপায় হয়ে প্রশাসনের দারে দারে বাদিনী সুবিচার পাওয়ার জন্য ঘুরতে লাগল। এরপর বাদী হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতা নিলু আক্তার। দুদক এর প্রধান কার্যালয় সেগুনবাগিচা পর্যন্ত তিনি গেলেন বিচার দাবীতে। মাননীয় আইজিপি পুলিশ হেড কোয়ার্টার ঢাকা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়াও মাননীয় মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব সচিবালয় ঢাকা, পিআইবি , পুলিশ প্রশাসন এর বরাবর অভিযোগ দিয়েছিলেন বাদিনী। এরপর সুদি শামশুর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেছে পুলিশ এর কথিত সোর্স আবু তালেব। তবে অনুসন্ধান এর ভিত্তিতে তালেবসহ এই নির্যাতন নিপিড়ন কাজটি করেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। নারী ও শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলো বলছে, ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ থেকে শুরু করে মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় পুলিশের অদক্ষতা, আন্তরিকতার অভাব, দুর্নীতিপ্রবণতা, ধর্ষকের রাজনৈতিক পরিচয়, প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ, নারীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি কারণে অধিকাংশ ধর্ষণ মামলায় আদালতে অপরাধ প্রমাণিত হয় না বলে ধর্ষক ছাড়া পেয়ে যায়। তবে সুষ্ঠু বিচার ও দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির বিধান নিশ্চিত করার মাধ্যমেই এই সকল কার্যক্রম অপকর্মের দৌড়াত্ব রোধ করা সম্ভব হবে বলে বিশ্লষকদের মত।