খুলনা : খুলনার সোনাডাঙ্গা থানা এলাকায় দারুস সালাম মহল্লার আলিফ মোহাম্মদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের হয়। আলিফ মোহাম্মদখুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী।
মামলায় বাদী নর্থ ওয়েষ্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী সাদিয়া ইসলাম স্বর্ণা (২২) উল্লেখ করেছেন, গত ১/২/২০২২ তারিখে আলিফ মোহাম্মদের সাথে ২০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়। বিয়ের পর কিছু দিন যেতে না যেতেই যৌতুকের টাকা নিয়ে পারিবারিক কলহ বাধে। তখন স্বর্ণার উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু হয়। আলিফ ও তার নিকট আত্মীয়রা ২০ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে দাবী করে। একপর্যায়ে স্বর্ণাকে তার ৫ মাস বয়সের শিশুসহ ২০ লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে আসতে অভিভাবকের নিকট পাঠিয়ে দেয়।
গত ২৮/১২/২২ তারিখ বাচ্চার অসুস্থতার সংবাদ শুনে আসামীরা স্বর্ণার নানা নানির বাড়িতে যায়। সেখানে যেয়েও ২০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবী জানায়। পরে তারা বিভিন্ন হুমকী দিয়ে চলে যায়।
বিষয়টি নিয়ে সাদিয়া ইসলাম স্বর্ণা চলতি বছরের ১ জানুয়ারী সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। পরে গত ৫ ফেব্রুয়ারি খুলনার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন আদালত নং-৩ এ সাদিয়া ইসলাম স্বর্ণা বাদী হয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোদনী ২০০৩) এর ১১ (গ)/৩০ ধারায় মামলা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনজীবি জিএম আব্দুল আলিম। মামলায় আসামী করা হয় তার স্বামী আলিফ মোহাম্মদকে। এছাড়াও আলিফের বোন আরশা আলমগীরকে ২নং এবং আলিফের মা আনোয়ারা খাতুন মুক্তাকে ৩নং আসামী করা হয়।
এ বিষয়ে বাদী সাদিয়া ইসলাম স্বর্ণা জানান, ফেসবুকের মাধ্যমের আলিফের সাথে পরিচয়। তিনবছর প্রেম করার পর বিয়ে হয়। আমার বাবা-মা কেউ নেই। আমি আমার নানী কাজী শাহানা বানুর নিকট থাকি। আলিফ আমার এবং নানীর কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন বিদেশে লেখাপড়ার জন্য। এছাড়া বিভিন্ন সময় আমার ওপর নির্যাতন করতেন।
বিবাদী আলিফ মোহাম্মদ জানান, মামলার ঘটনার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে গত একমাস স্বর্না আমার সাথে থাকে না। মামলার বিষয়টি সাজানো বলে তিনি দাবি করেন।