ইউনিক প্রতিবেদক:
খুলনায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চারতলা একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই দেবে হেলে গেছে।
তাছাড়া ‘ভবনটি নির্মাণের শুরু থেকেই অনিয়ম করা হয় এবং নির্মাণকাজ ঝুঁকিতে পড়ে’ বলে অভিযোগ তুলেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাষ মণ্ডল।
সোমবার জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে পার মাদারতলা এলাকায় গিয়ে পল্লীশ্রী মহাবিদ্যালয়ে দেখা গেছে, দেবে হেলে পড়া ভবনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা।
এমএস রহিত এন্টারপ্রাইজ নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি করছে।
প্রধান শিক্ষক প্রভাষ মণ্ডল বলেন, “ঠিকাদার মাটি পরীক্ষা না করেই পাইলিং শুরু করলে তা বেঁকে মাটির গভীরে চলে যায়। তখন ক্রেন এনে পাইলিংয়ের যন্ত্র তুলতে হয়। এ কারণে প্রায় পাঁচ মাস কাজ বন্ধ থাকে।
“তৃতীয়তলা পর্যন্ত করা হলে ভবনটি ছয় ইঞ্চির মতো দেবে উত্তর দিকে হেলে পড়ে। ঠিকাদার তখন ক্রেন দিয়ে ঠেলে ভবনের নিচে বালু ও ঢালাইয়ের ব্যবস্থা করে। তারপর চতুর্থতলার ছাদ ঢালাই করে।”
ভবনটি দুই কোটি ৯০ লাখ টাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
ঠিকাদার টিপু হাওলাদার দাবি করেন, “নির্ধারিত স্থানে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভবন করতে দেয়নি। তাদের কারণেই ডোবা ভরাটের পর সেখানে ভবন নির্মাণ করতে হয়েছে। কাজ করার সময় পেছন পাশটা একটু হেলে যায়।”
ভবনটি নির্ধারিত স্থানে নির্মাণ করা হয়নি বলে প্রধান শিক্ষক স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “ভবনটি সামনের দিকে একটু এগিয়ে করা যেত। কিন্তু বৈদ্যুতিক লাইনের কারণে বিদ্যালয়ের দক্ষিণে জায়গা নির্ধারণ করা হয়। ঠিকাদার বালু দিয়ে ডোবা ভরাট করে কাজ শুরু করেন।”
শুরু থেকেই যেখানে শঙ্কা দানা বেঁধেছে সেখানে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। খবর নিয়ে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”