নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন মাত্র ১৯ জন

প্রকাশঃ ২০১৯-০৩-১২ - ২১:২৩

ঢাকা অফিস : গত এক বছরে নেপালে ইউএস বাংলা বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ৫১ যাত্রীর মধ্যে বীমার আর্থিক ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন মাত্র ১৯ জন। ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদনে সময়ক্ষেপণ এবং কাগজপত্র জটিলতায় ঝুলে আছে বীমা দাবির টাকা পাওয়ার বিষয়টি। আইনজীবীরা বলছেন, ১৯২৯ সালে ওয়ারশ কনভেনশন না মেনে, ১৯৯৯ সালের মন্ট্রিল কনভেনশন মানলে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ আরো বেশি হতো।

২০১৮ সালে ১২ই মার্চ ফাল্গুণের এক সকালে নেপালে অবকাশ যাপনের জন্য ইউএস বাংলার ফ্লাইট বিএস ২১১-এর যাত্রী ছিলেন ডাক্তার রেজওয়ানুল হক ও তাহিরা তানভিন শশী দম্পতি। কিন্তু নেপালের ত্রিভুন বিমানবন্দরে নামার আগেই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় একা হয়ে যান রেজয়ানুল হক।

আহত রেজওয়ানের চিকিৎসা চলছে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষের টাকায়। চিকিৎসা শেষে বীমা আইন অনুযায়ী আহতরা পাবেন ক্ষতিপূরণ। ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ বলছেন, আহতদের চিকিৎসায় যেন ত্রুটি না হয় সে জন্য অর্থের যোগান দিচ্ছেন তারা।

বীমা প্রতিষ্ঠান বলছে, ১৯২৯ সালের ওয়ারশ কনভেনশন অনুযায়ি, ঐ ঘটনায় নিহত ২৭ বাংলাদেশি যাত্রীর মধ্যে ১৯ জনের বীমা দাবি বাবদ ১১ কোটি ২১ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি ৮ জনের দাবী ঝুলে আছে উত্তরাধিকার ও কাগজপত্রের জটিলতায়।

দূর্ঘটনায় নিহত ২৩ নেপালি এবং ১জন চীনা নাগরিকসহ বিদেশি যাত্রীদের ক্ষতিপূরণও তাদের আবেদনের দীর্ঘসুত্রিতার কারনেই ঝুলে আছে বলে জানিয়েছে আইন সহায়তা প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ যদি ১৯৯৯ সালের মন্ট্রিল কনভেনশনের দ্রুত আইনগত অনুমোদন দেয় তবে ভবিষ্যতে এ ধরণের দুর্ঘটনায় আর্থিক ক্ষতিপূরণের পরিমান আরো বাড়বে বলেও জানালেন, ইউএস বাংলা বিমান দুর্ঘটনায় বীমা দাবি নিষ্পত্তি সংক্রান্ত আইনজীবী ব্যারিস্টার আল আমিন রহমান।

প্রসঙ্গত; আজ নেপাল ট্র্যাজেডির এক বছর। গত বছর ২০১৮ সালের ১২ই মার্চ নেপালের ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয় ইউএস বাংলার একটি বিমান। এতে ৭১জন যাত্রীর ৫২জনই নিহত হন। যাদের ২৭ জনই বাংলাদেশি।