ইউনিক ডেক্সঃ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখনই নির্বাচন নয়, ন্যূনতম সংস্কার করেই নির্বাচন দিতে হবে।
তিনি বলেন, এখনই নির্বাচন করে ফেলতে হবে আমরা তা তো বলছি না। ন্যূনতম যে সংস্কারটা সেটা করে নিয়ে নির্বাচনটা করলে সমস্যাগুলো অনেকটা সমাধান হবে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের ‘গ্রন্থ আড্ডা’ অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী এবং জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভা আয়োজিত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাকে অনেকে ভুল বোঝে যে, আপনি এত নির্বাচন নির্বাচন করেন কেন? হ্যাঁ, আমাকে… বিশেষ করে ছাত্ররা তো বলেই। এখানে নির্বাচন বলার কারণটা হচ্ছে একটাই, আমরা বিশ্বাস করি, আমি জানি এই বিষয় ভুল কিনা… যেকোনো নির্বাচিত সরকার কিন্তু অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে ভালো। আমার এক্সসেস থাকে, আমি যেতে পারি, কথা বলতে পারি… এখন আমার সেই জায়গাটা নেই। তিনি বলেন, সংস্কারের প্রস্তাব আসতে শুরু করেছে। আমার বিশ্বাস যে, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা তিনি খুব শিগগিরই এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের ডাকবেন, একটা সমাধানের দিকে আসবেন, আলোচনা হবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা একটা জায়গায় পৌঁছাব। মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনটার কথা এজন্য তাড়াতাড়ি বলি যে, নির্বাচনটা হলে দেশের সমস্যাগুলো চলে যাবে। এখানে আপনার একটা নির্বাচিত সরকার পিপলস ম্যান্ডেট নিয়ে বসবে। এরা (অন্তর্বর্তী সরকার) তো এখন বসতে পারেনি, ওদের মধ্যে সেই কনফিডেন্স তো নেই। পিপলের ভাষাটা তো বুঝতে হবে, সেটা একটা নির্বাচিত সরকার সবচেয়ে ভালো বোঝে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ধৈর্য ধরে যাই… সামনের দিকে যাই। অনেক ত্রুটি আছে আমি বিশ্বাস করি, অনেক ত্রুটিকে তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) তুলে নিয়ে এসেছে, একটা জঞ্জালের মধ্যে এসেছে… একটা ধ্বংসপ্রাপ্ত জঞ্জাল, আমার ধারণা ছিল না যে, এত খারাপ হয়ে গেছে। এই পরিবর্তনের পরে আমরা যখন দুই-একটা জায়গায় খোঁজ-খবর নেই, অফিস-আদালতে খোঁজ-খবর নেই, একটা ভয়াবহ কাণ্ড… দুর্নীতি-চুরি ব্যক্তিগত স্বার্থ ছাড়া আর কোনো চিন্তা নাই সরকারি আমলাদের মতো… বলতে আমি বাধ্য হলাম, দুঃখিত।
জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সাবেক ছাত্র নেতা আবদুস সাত্তার পাটোয়ারির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, পলিসি গবেষক মাহাদী আমিন, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, শিক্ষা অনুরাগী আফরোজা খানম রীতা, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, শিক্ষক নেতা জাকির হোসেন, সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট সাইয়িদ আবদুল্লাহ, জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের জহির দিপ্তী, মঞ্জুর এলাহী, কাজী জহিরুল ইসলাম বুলবুল, হাসান আল আরিফ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।