নড়াইলে ধর্ষক রিপনের হুমকিতে গৃহবন্দী গর্ভবতী স্কুলছাত্রী

প্রকাশঃ ২০২৩-০৩-২৮ - ১০:৫৭

নড়াইল : নড়াইলে স্কুলছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে গর্ভবতী করার ঘটনা ধামাচাপা দিতে দৌঁড়ঝাপ করছেন ধর্ষক রিপন। তিনি নিয়মিত অফিস করছেন নড়াইল শহরের মেডিল্যাব ডায়গনষ্টিক সেন্টারে। তিনি মেডিল্যাব ডায়গনষ্টিক সেন্টারে একজন প্যাথলজিস্ট। তার বাড়ি নড়াইল সদর উপজেলার বেনাহাটি গ্রামে। তার ধর্ষণের ফলে ৩মাসের গর্ভবতী হয়েছে ১০ম শ্রেনির কিশোরী প্রিয়ন্তী। বখাটে রিপন প্রতিবেশি কিশোরী ভয়ভীতি দিয়ে প্রিয়ন্তীকে বার বার ধর্ষণ করে গর্ভবতী বানিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অথচ নিজের ককুর্ম ঢেকে রাখার জন্য প্রিয়ন্তী ও তার পরিবারকে গৃহবন্দী করে রেখেছেন। প্রিয়ন্তী সদর উপজেলার গুয়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। বখাটে সন্ত্রাসী রিপন ও তার পরিবারের হুমকিতে প্রিয়ন্তী স্কুলে যেতে পারছে না। প্রিয়ন্তী ও তার পরিবারের সদস্যদের বাড়ি হতে বের হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারা গৃহবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। রিপন ও তার বাবা এবং কাকা উচ্ছৃংখল যুবকদের দিয়ে প্রিয়ন্তীদের বাড়ি পাহার দিচ্ছে যাতে তারা কেউ বাড়ি হতে বের হতে না পারে। প্রিয়ন্তীকে ধর্ষন করে গর্ভবতী করেছে, অথচ তাকে বিয়ে করতে নারাজ রিপন। এ ব্যাপারে তার পরিবারের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে প্রিয়ন্তীর বাবা গ্রাম্য সালিশ ডাকে। প্রভাবশালী রিপনের পরিবার মোটা অংকের টাকায় সব সালিশ ভেস্তে দিয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে প্রিয়ন্তীর বাবা বাটুল রায় আইনের আশ্রয নিতে চেয়েছিল। তাই তাদের গৃহবন্দী করা হয়েছে। যাতে বাটুল বাড়ি হতে বের হয়ে কোন আইনী ব্যবস্থা নিতে না পারে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিশেষ ক্ষমতাধর এক ব্যক্তির সহযোগিতায় ধষৃক রিপন বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। রিপনের কুকর্মের সহযোগিতা করে দেখে ওই ক্ষমতাধরন ব্যক্তির প্রতি সারা শহরের ছি ছি রব উঠেছে। এদিকে বিস্মিত হয়েছেন সচেতন মহল। এতোবড় ঘটনা বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচারের পরও মেয়েটির জীবন রক্ষা করার জন্য হলেও কেন ওই ধর্ষকের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না?

ইতোমধ্যে গর্ভবতী কিশোরী মেয়ে প্রিয়ন্তী এবং তার বাবা ও মা সুষ্ঠু সমাধান না হলে আত্নহত্যার হুমকি দিয়েছেন।

এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রিয়ন্তী গর্ভবতী হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে, বখাটে রিপন তাদের বাড়িতে গিয়ে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজ কর্মস্থল নড়াইল মেডিল্যাব ডায়গনষ্টিক সেন্টারে নিয়ে আসে। এরপর তার বিভিন্ন রকম টেস্ট করে নিশ্চিত হয় সে ৩ মাসের গর্ভবতী। ওই মেডিল্যাবে বসে রিপন গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য প্রিয়ন্তীকে চাপ দেয়। প্রিয়ন্তী রাজী না হওয়ায় তার বড় ধরনের ক্ষতি করে দেয়ার হুমকি দেয়।