নড়াইল প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের বলাডাঙ্গা গ্রামে পূর্ব শত্রতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর জখম হওয়ার ঘটনায় মামলা দিয়ে বিপাকে পড়েছেন বলাডাঙ্গা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত সঞ্জয় বিশ্বাস ও তার ভাইয়েরা।
শনিবার ক্ষতিগ্রস্ত সঞ্জয় বিশ্বাস ও তার ভাইয়েরা অভিযোগ করে জানান, মামলা করার পর থেকে আসামিরা তাদের নানা ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাথে তারা প্রায়ই বিভিন্ন স্থানে বৈঠক করছে। ইতোমধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নলদী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোঃ সিরাজুল ইসলাম গুরুত্বপূর্ণ ধারা বাদ দিয়ে নরমাল ধারা দিয়ে চার্জসীট দাখিল করেছেন। চার্জসীট নরমাল দেয়ার পর আসামীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের অব্যহত হুমকিতে বাড়ি থেকে বের হওয়া দুস্কর হয়ে পড়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জানুয়ারি বিকেল ৫টার দিকে বলাডাঙ্গা গ্রামের সঞ্জয় বিশ্বাস, তার কাকাতো ভাই আনন্দ বিশ্বাস ও ভাই শিমুল বিশ্বাস স্থানীয় মিঠাপুর হাট থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তারা বাড়ির নিকট পৌঁছালে একই গ্রামের সাধন বাওয়ালী (৫০), নিমাই বাওয়ালী (৪৭), সনত বাওয়ালী (২১), নয়ন বাওয়ালী (২২), উৎপল বাওয়ালী (৩০), চয়ন বাওয়ালী (২১), উত্তম বাওয়ালী (৪৩), সরজিত বাওয়ারী (৫০), প্রশান্ত বাওয়ালী (৪৭), বিষ্ণু বাওয়ালী (৫২) সহ আরোও কয়েকজন তাদের উপর হামলা চালিয়ে আহত করে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ হামলা চালানো হয়। হামলাকারি সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হাতুড়ী, রামদা, ছ্যানদা, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র সহকারে হামলা করে আনন্দ বিশ্বাস, শিমুল বিশ্বাস ও সঞ্জয় বিশ্বাসকে আহত করে।
মামলার বাদী সঞ্জয় বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, তারা গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। শরীরে কোপ ও মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন থাকা সত্বেও মেডিকেল অফিসার ডাঃ শরীফ মোঃ হাসান ফেরদৌস আসামীদের দ্বারা ম্যানেজ হয়ে তাদের মেডিকেল সার্টিফিকেট অনেকটা শিথিল করে দেন। একই ভাবে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নলদী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোঃ সিরাজুল ইসলাম এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ ধারা বাদ দিয়ে আসামীদের পক্ষে নরমাল ধারায় অভিযোগপত্র দেন। মেডিকেল রিপোর্ট ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তার রিপোর্ট পেয়ে আসামিরা আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানা কৌশলে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। তিনি মেডিকেল রিপোর্ট ও অভিযোগ পত্রের জন্য আদালতে নারাজী আবেদন করবেন। এ বিষয়ে মেডিকেল অফিসার ডাঃ শরীফ মোঃ হাসান ফেরদৌস বলেন, যথাসম্ভব নিরপেক্ষ থেকে সত্যটাই তুলে ধরা হয়েছে মেডিকেলসার্টিফিকেটে। তদন্ত কর্মকর্তা নলদী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, মেডিকেল রিপোর্ট, বাদী, বিবাদী, সাক্ষী ও সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য যাচাই বাছাই করে সঠিক ভাবেই অভিযোগপত্র তৈরি করা হয়েছে।