শ্যামনগর, সাতক্ষীরা : সম্প্রতি পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ)এর ঘুষ দুর্নীতি ও বিভিন্ন অনিয়মের খবর খুলনা থেকে প্রকাশিত দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকায় একাধিকবার প্রকাশ হলে বিষয়টি পরিবেশ, জলবায়ু ও বন উপদেষ্টার নজরে আসলে কে এম ইকবাল হোছাইন কে তাৎক্ষণিক ভাবে বদলি করে ওএসডি করা হয়েছে। এবং তার সহযোগী কদমতলা ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানকে ডিভিশন ট্রান্সফার করে যশোরে সামাজিক বনায়নে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি বন সচিবালয় থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো কিছুটা এড়িয়ে গিয়ে বলেন কতৃপক্ষ সাতক্ষীরা সহকারী বন সংরক্ষক কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরীকে জরুরী ভিত্তিতে সরিয়ে নিয়ে সেখানে হাছানুর রহমানকে দায়িত্ব দিয়েছে।এখবর ২০শে অক্টোবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সুধী মহলের পক্ষ থেকে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে।কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের যোগদান করার পর হতে জেলেদের কাছ থেকে এক টাকা সরকারি রাজস্বের স্থলে ৪০ টাকা ঘুষ আদায়, জেলেদের কাছ থেকে ঘুষ আদায়ের মাধ্যমে সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার ও অভয়ারণ্য এলাকায় মাছ শিকার করিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছে। অভিযোগ খোদ বন বিভাগের। তার এ সমস্ত অপকর্মের খবর ঢালাওভাবে দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় বিষয়টি স্বয়ং বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নজরে আসলে তার কঠোর নির্দেশে বন মন্ত্রণালয় সাতক্ষীরা সহকারী বন সংরক্ষককে দূত সরিয়ে ঢাকা হেড অফিসে ওএসডি করা হয়েছে। তার স্থলে সাতক্ষীরা রেঞ্জে সহকারী বন সংরক্ষক পদে হাছানুর রহমানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।আর কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী সহযোগী কদমতলা ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানকে ডিভিশন ট্রান্সফার করে যশোরে সামাজিক বনায়নে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে দৈনিক জন্মভূমি শ্যামনগর উপজেলা প্রতিনিধির সাথে কথা হয় খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দোর সাথে তিনি বলেন সুন্দরবন আমার দায়িত্বে আছে আমি এই অঞ্চলের বন সংরক্ষক। সুন্দরবনে কোন অপরাধ করতে দেওয়া হবে না তাই সে বনজীবী হোক আর বন বিভাগের লোক হোক। তিনি আরো বলেন সুন্দরবনে কোন ঘাইজাল চলবে না,কলজাল চলবে না,পাটাজাল চলবে না,ভেসালী জাল চলবে না,ও কোন প্রকার দালাল অফিসে ঢুকবে না। নিয়মের বাইরে কাউকে চলতে দেওয়া হবে না। তিনি আরো বলেন ইকবাল হোছাইন চৌধুরী সাথে কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানকে ও অপসারণ করা হয়েছে। এব্যাপারে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় সাতক্ষীরা রেঞ্জের নবাগত বন সংরক্ষক হাছানুর রহমান জানান আমি আপনাদের কাছে কথা দিচ্ছি সাতক্ষীরা রেঞ্জে আমি দায়িত্বে থাকা কালীন কোন অনিয়ম দুর্নীতি চলবে না। সর্ব প্রথম আমার কাজ থাকবে দালালদের ফরেস্ট অফিস থেকে বিতাড়িত করে পর্যায় ক্রমে সব কিছু নিয়ন্ত্রণে আনা হবে। আপনারা মিডিয়ায় ভাইয়েরা আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।