পর্যটকদের ভিড় সুন্দরবনে, সুযোগ-সুবিধার অভাবে ভোগান্তিতে পর্যটকরা

প্রকাশঃ ২০২৩-০১-০৯ - ১৩:০১

ইউনিক ডেস্ক : নতুন বছরের শুরুতে সুন্দরবনের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে। নতুন বছরের  প্রথম দিনে প্রায় আড়াই হাজারের বেশি পর্যটক পঞ্চাশটির বেশি লঞ্চ/বোটে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অবস্থান করে বর্ষবরণ করেছে। বিভিন্ন পর্যটন স্পট ও গহীণ বনের নদীতে অবস্থান নিয়ে সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করেছেন পর্যটকরা। আর  রাতভর লঞ্চে বিভিন্ন ধরনের আয়োজনসহ নতুন বছরের ভোরের সূর্যকে চোখের দৃশটিতে উপভোগের পাশাপাশি ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দী করে রেখেছেন নানা বয়সী পর্যটকরা। নদী ও খালের বিভিন্ন স্পটে দেশীয় পর্যটকরা ছাড়াও বিদেশিরাও ছিলেন। তবে সুন্দরবনের নানা দর্শণীয় স্থান ও মোংলাতে তেমন সুযোগ-সুবিধা না থাকার কারনে পর্যটকদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সুন্দরবন ঘুরতে যাওয়া লঞ্চ বা বোটে ওঠার জন্য ঘাটসহ তেমন কোনো সুব্যবস্থা নেই। ফলে পর্যটকদের কষ্ট করে এ সকল এ সকল লঞ্চ বা বোটে উঠতে হয়, যা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এতে মাঝে মধ্যে ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। আশপাশে ভালো মানের ওয়াশ রুমের ব্যবস্থা না থাকায় মহিলা পর্যটকরা ভোগান্তিতে পড়েন। যারা পিকনিক করতে আসেন তাদের জন্য রান্না-বান্না করার ভালো ব্যবস্থা এখানে নেই। পর্যটকদের রান্না-বান্না ও খাওয়ার জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা অপ্রতুল। যে কারনে তাদেরকে বেশি দাম দিয়ে বোতলজাত পানি কিনতে হচ্ছে। ওই এলাকায় ভালো মানের খাবার রেষ্টুরেন্ট ও আবাসিক হোটেল না থাকাতে দূরের পর্যটকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অনেককে গাড়িতে রাত কাটাতে হয়। যে কারনে অনেকের সুন্দরবন এলাকায় কয়েকদিন থাকার ইচ্ছা থাকলেও এ সকল সমস্যার কারনে একদিনে ভ্রমণ শেষ করে তাদেরকে চলে যেতে হচ্ছে। সুন্দরবনের দর্শণীয় এলাকা করমজল, হাড়বাড়িয়া, কটকা, কালাবগী, হিরণপয়েন্ট ও দুবলা এলাকায়ে ওয়াশরুম , খাবার পানিসহ নানা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের। যে কারনে অনেকে এসব এলাকা ভ্রমণ করতে অনাগ্রাহী হচ্ছেন। মাদারীপুর থেকে সুন্দরবনে ঘুরতে আসা পাপিয়া, বিপাশা ও অনিকা বলেন, অনেকদিনের আশা ছিল সুন্দরবন দেখবো তাই এসেছি। এখানে এসে সুন্দরবনের অপরুপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছি। তবে ওয়াশরুম, খাবার পানি ও থাকার হোটেল নিয়ে নানা অসুবিধার মধ্যে পড়েছি। যে কারনে দুই-তিনদিন থাকার ইচ্ছা থাকলেও ভ্রমণ সংক্ষিপ্ত করে একদিনেই চলে যাচ্ছি। মোংলা বন্দর জালিবোট মালিক সমিতির সভাপতি জানান, সুন্দরবন এলাকায় ঘুরতে আসা মানুষ সুন্দরবন দেখে খুশি হলেও নানাবিধ ভোগান্তিতে পড়েন। যে কারনে পর্যটন মৌসুম চললেও আমরা আশানুরুপ পর্যটক পাচ্ছি না। এতে করে সরকার বিপুল পরিমান পর্যটক হারাচ্ছেন। এ সকল অসুবিধা দূর করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। সুন্দরবনের করমজল পর্যটক কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, করমজলে ওয়াশরুমসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, তবে তা পর্যাপ্ত নয়। বর্তমানে প্রচুর পরিমানে দেশি বিদেশি পর্যটক করমজল ভ্রমণে আসছেন। তাদের কথা বিবেচনা করে আমরা বিশ্বমানের নানাবিধ সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর চেষ্টা করছি।