পাইকগাছা (খুলনা) : খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা নামক মহতী কাব্যের শ্রষ্ঠা কবি ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন নিরস্ত্র বাঙ্গালীকে সশস্ত্র জাতিতে পরিণত করে। ১৯ মিনিটের ভাষনে তিনি শুধু স্বাধীনতার চূড়ান্ত আহবানটি দিয়ে ক্ষান্ত হননি। স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের রূপরেখাও দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই বজ্র নির্ঘোষ বাণী আজও বাঙ্গালী জাতিকে উদ্দিপ্ত করে, অনুপ্রাণিত করে। সময়ের বিবর্তনে অনেক কিছুই কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে। বিকৃতির নিকৃষ্ট ষড়যন্ত্রের আবহে বদলে ফেলার অপচেষ্টা হয়েছে স্বাধীনতার অনেক ইতিহাস। কিন্তু ৪৭ বছরে অনেক কিছু বদলে গেলেও বদলানো যায়নি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন। তিনি শনিবার সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন ইউনেস্কোর “মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার” এ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে “বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্যের” স্বীকৃতি পাওয়ায় পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফকরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষন যুগের পর যুগ, বছরের পর বছর, ঘন্টার পর ঘন্টা বেজে চলেছে। কিন্তু ভাষনটির আবেদন আজও কমেনি বরং যখনই প্রজন্মের পর প্রজন্ম এ ঐতিহাসিক ভাষনটি শ্রবণ করেন তখনই তাদের মানসপটে ভেসে ওঠে স্বাধীনতার গৌরবগাঁথা আন্দোলন সংগ্রামের মুহূর্তগুলো। ৪৭ বছর একই আবেদন নিয়ে একটানা কোন ভাষন শ্রবণের নজির বিশ্বের ইতিহাসে নেই। নানা গবেষণার পর বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষনটি ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষন হিসাবে স্বীকৃতি তারই প্রমাণ করে। এমপি নূরুল হক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে মরণোত্তর নোবেল পুরস্কার দেওয়ার জন্য নোবেল কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স ম বাবর আলী, খুলনা জেলা আ’লীগের সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল, জেলা পরিষদ সদস্য শেখ কামরুল হাসান টিপু, আব্দুল মান্নান গাজী, নাহার আক্তার, মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৈয়দ লুৎফর রহমান, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও উপজেলা আহবায়ক মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, অধ্যক্ষ মিহির বরণ মন্ডল, রবিউল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আব্দুল আউয়াল, ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, ওসি (তদন্ত) এসএম শাহাদাৎ হোসেন, ওসি (অপারেশন) প্রবীণ চক্রবর্তী, ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল, কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, আ’লীগনেতা লুৎফর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী, প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার সরকার, আব্দুল গফফার, জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, জেলা নেতা জামিল খান, আমিন বেগ, সাইফুল ইসলাম খান, ফরিদ রানা, মাহাফুজুর রহমান সোহাগ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন, তাপস জোয়াদ্দার, সাইদুর রহমান, ছাত্রলীগনেতা এসএম মশিয়ার রহমান ও মাসুদ পারভেজ রাজু। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রভাষক ময়নুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষা অফিসার শোভা রায়।