স্নেহেন্দু বিকাশ, পাইকগাছা: পাইকগাছায় প্রয়াত চেয়ারম্যানপুত্র গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জুনায়েদুর রহমান সততা ও দক্ষতার সাথে সরকারি উন্নয়ন কর্মকান্ড ও সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের সাহায্য ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় সকল শ্রেণী পেশার মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন এবং ডিজিটাল ইউনিয়ন গড়ার এক ধাপ এগিয়ে গেছেন।
জানা যায়, চেয়ারম্যান গাজী জুনায়েদুর রহমান উপজেলার ঘোষাল গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করে। ১৯৮৬ সালে পাইকগাছা সরকারি বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি ও সরকারি ব্রজলাল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এইচএসসি প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে বাংলায় অনার্সসহ মাস্টার্স পাশ করে এলাকায় ফিরে আসেন। মরহুম পিতা গাজী আমিনুর রহমান ও মরহুম চাচা গাজী মিজানুর রহমান মন্টু আশির দশকের পর হতে গদাইপুর ইউনিয়নে বার বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়নের উন্নয়ন ও সুনাম ত্বরান্বিত রেখেছিলেন। দেশের সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করেও চেয়ারম্যান পিতা ও চাচার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত এবং ইউনিয়নবাসীর সেবা করার জন্য মনোনিবেশ করলে গত নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে জনগণ তাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমেই তিনি তার সরকারি সম্মানী ভাতা অসহায় মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেয়ার ঘোষণা দেন। এরপর তিনি এতিম, বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা মহিলাসহ অসহায় মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতা করে চলেছেন। পাশাপাশি পাইকগাছা-কয়রার সংসদ সদস্য এ্যাডঃ নুরুল হকের সহযোগিতায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডে ভূমিকা রেখেছেন। গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটাভুটিতে ভোট দানের ক্ষেত্রে লোভ-লালসার উর্দ্ধে সততার নজির দেখিয়েছেন। যা গোটা জেলার মানুষের কাছে সুনাম কুড়িয়েছেন। ইতোমধ্যে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে গদাইপুর ইউনিয়নের প্রস্তাবিত ঘোষাল পিচ ঢালাই রাস্তা, মঠবাটী পিচ ঢালাই রাস্তা উল্লেখযোগ্য। এছাড়া অসংখ্য ইটের সলিংয়ের রাস্তা নির্মাণ করেছেন। গত ৭জুন মঠবাটী গ্রামের মৃত কলম গাজীর এতিম নাতনী রেহানা খাতুনের বিবাহে ১০ হাজার টাকা নিজ তহবিল থেকে সাহায্য করেন। তিনি নিজ উদ্যোগে পরিষদের সহযোগিতায় স্বামী পরিত্যাক্তা মহিলাদের সাবলম্বীর জন্য দর্জি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন, ১৬জন মহিলাকে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন দিয়েছেন এবং সরকারী ভাতা বঞ্চিত ১৫০ জন নারী ও ২শ জন পুরুষের শাড়ী-লুঙ্গি বিতরণ করেছেন। গদাইপুর গ্রামের আব্দুর রহিম ও ফকির সরদারকে গরু, ছাগল দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। এত অল্প সময়ে চেয়ারম্যান জুনায়েদুর এলাকার বিভিন্ন কর্মকান্ডের জন্য সকলের নিকট থেকে ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছেন। গদাইপুরের সাজ্জাদ, মঠবাটী মিজানুর, তোকিয়ার রাজ্জাক জানান, আমরা কিছুদিন অভিভাবক শূন্য ছিলাম। জুনায়েদুর আসায় আমরা নতুন করে স্বপ্ন দেখেছি। তিনি পারবেন তার পিতা ও চাচার স্বপ্ন পূরণ করতে এবং গদাইপুর ইউনিয়নকে নতুনভাবে সাজাতে। চেয়ারম্যানের জুনায়েদুর রহমান বলেন, আমি লেখাপড়া শিখে চাকরী না করে আমার পিতা ও চাচার স্বপ্নের গদাইপুর ইউনিয়নের জনগণের সাথে মিশিয়ে থাকতে চেয়েছি। আমার সারাটি জীবন মুরব্বীদের দোয়ায় এই ইউনিয়নবাসীর জন্য কাজে লাগাতে চাই।