মোঃ আসাদুল ইসলাম, পাইকগাছা : পাইকগাছায় প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফশীল ঘোষণা পরেই নৌকা প্রত্যাসীরা কেন্দ্রে দৌড়-ঝাপ শুরু করেছে। উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দলের কেন্দ্রীয় কার্য্যলয়ে অবস্থান করে কেহ কেহ দলীয় মনোনয়ন ফর্ম কিনে জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। অনেকই এখন কাঙ্খিত প্রতিকের জন্য সর্বচ্ছ মহল পর্যন্ত যোগাযোগে ব্যাস্ত রয়েছে বলে জানা গেছে। অনেকেই আবার উপজেলা কমিটির কাছে মনোনয়ন চাইলেও কেন্দ্র কমিটির কাছে মনোনয়ন চাইনি এবং কেন্দ্র থেকে দলীয় মনোনয়ন ফর্ম তুলেনি। এবার পুরাতনদের পাশাপাশি নতুনদের মধ্যে ক্লিন ইমেজের অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীরাও মনোনয়ন চাইছেন। ইউনিয়নের দলীয় নেতৃবৃন্দরা অপেক্ষায় রয়েছেন কে হবেন তৃণমুলে এ নৌকার মাঝি।
পাইকগাছা-কয়রার এমপি আলহাজ্ব আকতারুজ্জামান বাবু, সাবেক এমপি এ্যাড. সোহরাব আলী সানা, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য শেখ কামরুল হাসান টিপু, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস সহ ১০ ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আ’লীগ সমার্থিত সকল চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা নিকটতম নেতা-কর্মিদের নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করার কারণে এলাকা এক প্রকার নেতৃত্ব শুন্য। মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকান থেকে বিভিন্ন আলোচনা হচ্ছে এবারের নির্বাচনে কে পাচ্ছেন সোনার হরিণ নামক নৌকা প্রতিক। সমার্থকরা নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে গুনগান করে চলেছেন। ভোটারাও করছেন চুলচেরা বিশ্লেশন।
খুলনার সাবেক ছাত্রনেতা ও বর্তমান যুবলীগ নেতা মোঃ আশরাফুল ইসলাম রাবু মুঠোফোনে বলেন, দলের পিছনে যাদের বিগত দিনে অবদান রয়েছে তাদেকেই মুল্যায়ন করবেন আমার নেত্রী শেখ হাসিনা এবং আমার দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের কাছে প্রত্যাসা দলের এমন কোন প্রার্থীর জন্য উনারা সুপারিশ করবেননা যাতে দল এবং সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।