পাইকগাছা প্রতিনিধি : পাইকগাছার শাফলা ক্লিনিকে ডাক্তারের ভুল অস্ত্রপাচারে আরিফা(২১) নামে অসহায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়েছে ক্লিনিক কর্তিপক্ষ।
গত ১৫ মার্চ বিকালে উপজেলার মৌখালী গ্রামের মাহফুজুর রহমানের স্ত্রী আরিফা খাতুনকে পেট ব্যাথা জনিত কারনে পাইকগাছার শাফলা ক্লিনিকে ভর্তি করলে ১৬ মার্চ তার এ্যাপান্ডিসের অস্ত্রপাচার করেন ক্লিনিক মালিক কথিত ডাক্তার তাপস ও সাতক্ষীরা থেকে আগত ডাঃ বিপেন বিহারী। ভূল অপরেশনের করেন তার মুত্রনালি কেটে বাদ দেন ডাক্তাররা। মুত্রনালি কাটার কারনে দুই দিন ধরে তার প্রসাব পায়খানা না হওয়ায় তার পেট ফুলতে থাকে। ১৯ মার্চ রাতে রুগীর পেট ব্যাথায় চেঁচামেচি শুনে ডাক্তারের ঘুম ভাঙ্গে। ডাক্তাররা এসে দেখে রোগীর অবস্থা আস্তে আস্তে অবনিতর দিকে যাচ্ছে। রাতেই কথিত ডাঃ তাপস নিজেই এ্যাম্বুলেন্সে রোগী ও তার মাকে নিয়ে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করেন। সেখানকার ডাক্তাকরা বিভিন্ন পরিক্ষা নিরেক্ষা করে জানতে পারেন রোগীর প্রসাব ও পায়খানার রাস্তা এক হয়ে গেছে, শরীরে অপরেশন করার সময় মুত্রনালি ছিড়ে গেছে। যার কারনে এ সমস্যা। পরে ২২ মার্চ আরিফার মৃত্যু হয়।
রোগী আরিফার বাবা আব্বাস আলী বলেন, তার মেয়েকে ভূল অস্ত্রপাচারের কারনে মৃত্যু হয়েছে। তারা খুলনায় নিয়ে রোগী বাঁচাতে অনেক টাকা খরচ করলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচাতে পারিনি। তাদের কাছ থেকে সাদা কাগজে সই করে নিয়েছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ কত টাকা দিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকার বিষয় তার জামাই জানে। শাপলা ক্লিনিকের মালিক তাপসের কাছে এই বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, রুগি অস্ত্রপাচারের পর তার কিডনি জনিত সমস্যার কারনে খুলনায় পাঠানো হয় এবং ২২ মার্চ সকালে সেখানে মৃত্যু হয়। টাকা লেনদেনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন। পরে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে একাধিক রোগী মৃত্যু হলেও অজ্ঞাত কারণে তা ধামাচাপা পড়ে।