পাইকগাছা : পাইকগাছায় প্রায়ই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অন্যান্য উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস থাকলেও জনবহুল এ জনপদে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে ফায়ার স্টেশন হয়নি। সে কারণে অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনা ঘটলে অত্যন্ত ঝুঁকিতে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। সময় সাপেক্ষ বিধায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বেশি হয়। কোথাও সব পুড়ে সর্বশান্ত হচ্ছে। এবার পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার রাত পৌঁনে ১০টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটারে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের ওটি রুমের এসির সার্কিট ব্রেকারে সর্ট সার্কিট হয়ে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। তাৎক্ষণিক ওটিতে আগুন দেখা গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ রোগীর স্বজনরা ওটির দরজা ভেঙ্গে বালি ও পানি মেরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এদিকে আগুন লেগে গেলে ভয়ে অনেক রোগী তাড়াহুড়ো করে হাসপাতালের বাইরে চলে আসলেও ওটির কারেন্ট লাইন আলাদা হওয়ায় রোগীদের ওয়ার্ডে কোন সমস্যা হয়নি। এদিকে ওটি রুমের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। ওটির ভিতর এসি, চেয়ার, বেড ও বৈদ্যুতিক সংযোগে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: নীতিশ চন্দ্র গোলদার দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, হাসপাতালের ওটি রুমের এসির সার্কিট ব্রেকারে সর্ট সার্কেট হয়ে আগুন লেগেছে। আমরা জানতে পেরে তাৎক্ষণিক পাইকগাছা পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমকে ফোনে জানালে তিনি সাথে-সাথে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দেয়। আমরা আগুন নিভাতে সক্ষম হই। তবে রোগীদের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
উল্লেখ্য, গত বছর ২৮ মার্চ গদাইপুরে ৬টা দোকানে, ৪ এপ্রিল কপিলমুনি বাজারে মন্দিরে সামনে দোকানে, ২৯ জুন রাড়ুলী ইউনিয়নের শ্রীকন্ঠপুরে উইং প্রাইভেট কর্ণারে, ১৩ জুলাই লক্ষ্মীখোলায় ৩টি ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসকল ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্টরা একাধিকবার জায়গা পরিদর্শন, নির্বাচন করলেও বাস্তবায়ন পরিলক্ষিত হচ্ছে না। বিভিন্ন কারণে অন্তরালে। সেজন্য অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে, ক্ষয়-ক্ষতি এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট খুব দ্রুত ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের জোরে দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।