এস এম জামাল, কুষ্টিয়া: পাখি ব্যবসায়ী গপণ বেদ আর পাখি বিক্রি করবে না বলে মুচলেকা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, কোন পাখিও শিকার করবেন না তিনি। তবে তার অন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করলে এ পেশাটা তিনি ছেড়ে দেবেন। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার নামের এক পেশাদার ব্যবসায়ী গপন বেদ শনিবার দুপুরে স্থানীয়দের কাছে এমনটিই আকুতি জানিয়েছে। বুধবার সকালে কুষ্টিয়ার শেখ রাসেল সেতুর উপর থেকে গপন বেদকে পাখি বিক্রি করা অবস্থায় দেখতে পায় এলাকাবাসী। খাঁচায় বন্দি করে টিয়া বিক্রি হচ্ছে এলাকাবাসীর এ অভিযোগে সেখানে হাজির হয় পাখি ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করা মানুষ মানুষের জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা শাহাবুদ্দিন মিলন। শাহাবুদ্দিন মিলন জানান, পাখি বিক্রি অবস্থায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, দেড় হাজার টাকা পিস হিসেবে পাখি বিক্রি করে থাকি। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন সম্পর্কে ও বন্যপ্রাণীর প্রয়োজনীয়তা অবহিত করলে তারা বুঝতে পারে এবং শিকার করবেনা মর্মে মুচলেকা দেয় এবং বিক্রিরত অবস্থায় ৬টি পাখির মধ্যে এসব পাখি উদ্ধার করে আকাশে উড়িয়ে দিতে চাইলে হাতে পায়ে ধরে অনুরোধ করেন তিনি। পরে আর কোনদিন পাখি শিকার এবং বিক্রি করবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন গপন বেদ। প্রসঙ্গত, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী পাখি শিকার, হত্যা, আটক ও ক্রয় বিক্রয় দন্ডনীয় অপরাধ যার সর্বোচ্চ শাস্তি ২ বছর কারাদন্ড এবং ২ লক্ষ টাকা জরিমানা ও বন্যপ্রাণী আটক, হত্যা, শিকার ও ক্রয়-বিক্রয় দন্ডনীয় অপরাধ যার সর্বোচ্চ শাস্তি ১২ বছর কারাদন্ড এবং ১৫ লক্ষ টাকা জরিমানা বিধান রাখা হয়েছে। এ আইন বাস্তবায়নে আমরা প্রশাসনের পাশাপাশি সহযোগী হিসেবে কাজ করছে মানুষ মানুষের জন্য সংগঠন। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা শাহাবুদ্দিন মিলন জানান, বন্যপ্রাণী শিকার ও হত্যা রোধে আমাদের সংগঠন জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামগুলোতে সাইনবোর্ড, ব্যঅনার ফেষ্টুন স্থাপন, লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন প্রচারণামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছি। শুধু তাই নয়, পাখিদের অভয়ারন্য গড়ে তুলতে বাশের মাচা বা খাঁচায় তাদের অভয়াশ্রম গড়ে তুলে থাকি।