পাটকেলঘাটা, প্রতিনিধিঃ সুনামধন্য ওসি মোল্লা জাকির হোসেন। তিনি পাটকেলঘাটা থানাই যোগদানের পরই পাল্টে যায় পুলিশের চিত্র। পুলিশ শাসক নয়, শোষক নয়; পুলিশ জনগণের সেবক। এই মন্ত্রে উজ্জীবিত এখন পুরো পাটকেলঘাটা থানা পুলিশের সকল সদস্য। তাই হ্রাস পেয়েছে পুলিশ কর্তৃক মানুষের হয়রানি। ন্যায় বিচারের মূলে পুলিশের নিরপেক্ষতা এবং সততা। এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে দেশের অন্যতম একটি বাহিনীর ভাবমুর্তি। একমাত্র এ বাহিনীটিকেই জনসাধারণের সংস্পর্শে যেতে হয়, পেশাদারিত্বের স্বার্থে। তাই অনেক সময় বিভিন্ন কারনে বা অকারনে লোভ ও লালসার বশবর্তী হয়ে পড়েন কিছু সদস্য। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখেই সাহসী কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন ওসি মোল্লা জাকির হোসেন। সকল শক্তি অপশক্তিকে উপেক্ষা করে মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কনস্টেবলদের প্রতিশ্রুতি পূরণে প্রেরণাদীপ্ত পারঙ্গমতা প্রদর্শনে সফল হয়েছেন তিনি। প্রতারক চক্রের অপতৎপরতা রোধে গোটা থানায় সতর্কতামূলক অভিযোগ বক্স ও ফোর্সদের জনসম্পৃক্ত করে গণসচেতনতা তৈরী করে, সফলও হয়েছেন তিনি। ওসি মোল্লা জাকির হোসেন পাটকেলঘাটায় যোগদানের পর থেকেই তাঁর কাজের সাফল্য ধারাবাহিকতা-সাফল্য স্বাক্ষী হয়ে থাকবে পাটকেলঘাটার ইতিহাসে। ইতিমধ্যে তিনি সাধারাণ মানুষের পাশাপাশি জয় করে নিয়েছেন অভিভাবক মহলেরও মন। পাটকেলঘাটার সকল এলাকার যুবসমাজ যখন মাদকের ছোবলে ধ্বংশের দ্বারপ্রান্তে তখন মাদকের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছেন তিনি। একাজে তার থানার দু’কান্ডারী নাশকতাকারী কাছে আতংক পাটকেলঘাটা থানার ওসি তদন্ত উজ্বল কুমার মৈত্র ও মাদক সেবী ও ব্যবসায়ীর আরেক আতংক থানার সেকেন্ড অফিসার পীযূষ দাশ।
ওসি মোল্লা জাকির হোসেনের দূর-দর্শিতার ফলে প্রায়ই উদ্ধার হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য এবং আটক হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ী-পাচারকারী এবং মাদকসেবী, আটক হচ্ছে। পাটকেলঘাটা থানায় গত ১০/০৮/১৭ ইং তাং বৃহস্পতিবার ওসি হিসেবে যোগদান করেন মোল্লা জাকির হোসেন। পাটকেলঘাটায় তার যোগদানের পর পাল্টে যেতে শুরু করে পুলিশের বেশ কিছু চিত্র, পরিবর্তন আসে সকল ক্ষেত্রে। তাঁর দক্ষ তদারকিতে পেশাদারিত্ব আসে মাঠ পর্যায়ের সদস্যদের মাঝেও। পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিনের অভিযোগ-অপবাদ লাঘবে থানার ওসি মোল্লা জাকির হোসেনের বিচক্ষণতা অনেকাংশেই প্রসংশার দাবী রাখে। অফিসার ইন-চার্জ হিসেবে যোগদানের পর ইতোমধ্যেই সঠিক নিয়মের মধ্য জনগনের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ভূমিকায় তিনি চেষ্টা সম্পন্ন করেছেন। সাম্প্রতিককালে তেমন কোন প্রকার অনিয়ম বা দুর্নীতির কোনই প্রশ্ন ওঠেনি। তাঁর এ সততার দারুণ যে সকল সদস্যরা নিয়োগ পেয়েছেন এবং যাঁরা এ নিয়োগের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন সকলেই এ নিয়োগে গর্ববোধ করতে পারেন। এছাড়া, সাধারণ জনতার মাঝে দীর্ঘ দিনের যে সংশয় ছিল, ‘ভয়, পুলিশ সহযোগীতার কাজে টাকা লাগে’ এ সংশয়ও তিনি কাটিয়ে দিয়েছেন চিরতরে। ওসি মোল্লা জাকির হোসেন যোগদানের পর থানায় প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের, কমে গেছে অকারনে জিডি’র প্রবণতা। সাধারণ মানুষের ভয় কেটেছে পুলিশের প্রতি, সেবা প্রাপ্তির লক্ষে পুলিশের দ্বারস্থ হচ্ছে এখন মানুষ। মোল্লা জাকির হোসেন থানার কর্মকর্তাদের নিয়ে সময়ে সময়ে বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তদারকিসহ অফিসারদের কাজে দিকনির্দেশনা দিয়ে আসছেন। এতে করে পুলিশি হয়রানি থেকে সাধারণ মানুষের অনেটাই মুক্তি মিলেছে। “শুধু তাই নয় পাটকেলঘাটা বাজার সড়ক দূর্ঘটনা ও যানজট মুক্ত রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। পুলিশের প্রতি নির্ভরশীলতার অভাবে অনেক মানুষেরই ছোটখাটো কোন বিষয় নিয়ে পুলিশের কাছে যেতে অনিহা ছিল। অনেকে নিরবে-নিবৃত্তে প্রভাবশালীদের ছোটখাটো জুলুম-অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে গেছেন। এতে করে অপরাধীদের অপরাধের মাত্রা ছাড়িয়েছিল। এসব সামাজিক সমস্যা নিরসনে ওসি মোল্লা জাকির হোসেন তার অফিস কক্ষে নিয়মিত সাধারণ মানুষের অভিযোগ শুনে থাকেন। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়ায় অপরাধীদের উৎসাহে অনেকটাই ভাটা পড়েছে এখন। তাঁর এ উদ্যোগ চলমান থাকলে পুলিশের হারানো ভাবমুর্তি যেমন ফিরে আসবে তেমনি মানুষের জীবনেও সুখের সুবাতাস বইবে।