দুদক যেসব তথ্য চেয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, পাপিয়া এবং তার স্বামী সুমন কত তারিখ থেকে কত তারিখ পর্যন্ত হোটেল ওয়েস্টনের কক্ষ বা প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট ব্যবহার করেছেন। যাদের সঙ্গে নিয়ে হোটেলে অবস্থান করেছেন তাদের নাম-ঠিকানা। বিলাসবহুল এ হোটেলে অবস্থান ও বিভিন্ন ইস্যুতে মোট কত টাকার বিল পরিশোধ করেছেন এবং বিল পরিশোধের ভাউচার বা কপিও চাওয়া হয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে। এছাড়া হোটেলে প্রবেশ এবং বের হওয়ার তথ্যও জানতে চাওয়া হয়েছে ওয়েস্টিন কর্তৃপক্ষের কাছে।
এমনকি, গেল বছরের ১২ই অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ১২ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাপিয়া এবং তার সঙ্গীরা যেসব কক্ষে অবস্থান করেছেন তার ভিডিও ফুটেজও চাওয়া হয়েছে।
গেল ২৭শে ফেব্রুয়ারি যুব মহিলালীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী পাপিয়ার দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করার কথা জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
এর আগে, গেল ২২শে ফেব্রুয়ারি দুপুরে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশত্যাগের সময় শামিমা নূর পাপিয়াসহ চারজনকে আটক করে র্যাব-১। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আরও তিনজনকে আটক করা হয়। আটক হওয়া অন্যরা হলেন, পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)। এ সময় তাদের থেকে ৭টি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি নগদ ২ লাখ ১২ হাজার টাকা, জাল ২৫ হাজার টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলংকান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯০ ইউএস ডলার উদ্ধার করা হয়।
হোটেলে নারীদের দিয়ে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজ করানো, জাল টাকা, অবৈধ অস্ত্র, মানি লন্ডারিং এবং কোনো নির্দিষ্ট উৎস ছাড়া বিপুল টাকার মালিক হওয়ার কারণেই বহিষ্কৃত নরসিংদী জেলা যুব মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নুর পাপিয়াকে আটক করা হয়।