পুলিশের নগরীতে মাইকিং শুনে মাদক ব্যবসায়ীকে ধরিয়ে দিল এলাকাবাসী

প্রকাশঃ ২০২০-০৭-২৮ - ০১:৩১
মাদক ব্যবসায়ী জাহেদ ইসলাম ইমন ওরফে জাকু

চট্টগ্রাম ব্যুরো: পুলিশের নগরীতে পুলিশের মাদক বিরোধী মাইকিং শুনে জাহেদ ইসলাম ইমন ওরফে জাকু নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ধরিয়ে দিয়েছে এলাকাবাসী। সোমবার (২৭ জুলাই) নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন পাথরঘাটার নজুমিয়া লাইনে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে নজুমিয়া লাইনে মাদক বিরোধী মাইকিং করেন কোতোয়ালী থানা পুলিশ। পুলিশ বলছে- তারা গত ৪ দিন ধরে কোতোয়ালী থানা এলাকায় মাদক বিরোধী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছে।

জাকুর বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে বলে জানান পুলিশ।

জাকুর গ্রেফতার প্রসঙ্গে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মাদক ব্যবসায়ীদের তথ্য চেয়ে আমরা নজুমিয়া লেইনে মাইকিং করেছিলাম। মাদক ব্যবসায়ীদের তথ্য জানাতে আমাদের সাথে যোগাযোগের জন্য সংশ্লিষ্টদের ফোন নাম্বারও দিয়ে এসেছিলাম। পরবর্তীতে সেই মাইকিংয়ের সূত্র ধরে আজ সোমবার এলাকাবাসী আমাদের জাকুর অবস্থান জানায়। তাদের দেওয়া তথ্যেই অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় জাকুকে। এ জাকু পাথরঘাটা নজুমিয়া লাইন এলাকার মূল মাদক বিক্রেতা হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও এ জাকু এক সময় ছিনতাইকারীও ছিলেন। পরে বনে যান মাদক ব্যবসায়ী।

গত ২২ জুলাই পুরো কোতোয়ালী থানাকে মাদকশুন্য করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন  কোতোয়ালির ওসি মোহাম্মদ মহসীন। এজন্য তিনি একটি কর্মপরিকল্পনাও ঠিক করেছেন।

কোতোয়ালি থানা সুত্রে জানা যায়, এ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তিনটি ধাপে। প্রথম ধাপে, এলাকাভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ এবং সচেতনতা প্রচারাভিযান চালানো হবে। দ্বিতীয় ধাপে, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও বিক্রেতাদের আত্মসমর্পণের ডেডলাইন দেওয়া হবে এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তৃতীয় ধাপে, সাড়াশি অভিযান চালিয়ে অল আউট অ্যাকশন।

আরও জানায়, তারা ইতোমধ্যে মাদক কেনা বেচার সাথে সংশ্লিষ্টদের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন। ১৫ টি বিটে বসানো হয়েছে অভিযোগ বাক্স। পাড়ায় পাড়ায় সচেতনতামুলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে এবং মাদক সংশ্লিষ্টদের সামাজিকভাবে বয়কটের কাজও শুরু হয়েছে। এদিকে প্রথম থানা হিসেবে কোতোয়ালী থানাকে ধূমপানমুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এটি কোতোয়ালীকে মাদকশুন্য করার অন্যতম একটি ধাপ বলছেন কোতোয়ালি থানা পুলিশ।