খুলনা : তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মোংলা বন্দর সচল হয়ে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বিগত ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ক্রমাগত লোকসানের পর বর্তমান সরকার মোংলা বন্দরের উন্নয়ন ও ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানামূখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর হোটেল টাইগার গার্ডেনে ‘এলডিসিভুক্ত দেশ হতে বাংলাদেশের উত্তরণ: মোংলা বন্দরের অর্জিত সাফল্য, চলমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এ সেমিনারের আয়োজন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, পদ্মা সেতু ও খুলনা-মোংলা রেললাইন চালু হলে মোংলা বন্দরের সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি পাবে। এজন্য বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বন্দরের জনবলকে দক্ষ করে তুলতে হবে। বন্দর ব্যবহারকারীরা যাতে কোন হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য তিনি বন্দর কর্তৃপক্ষ ও মোংলা কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়া বন্দরের কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে তিনি মোংলা বন্দর ও মোংলা কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের কর্ম এলাকায় বসবাস করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এ কে এম ফারুক হাসান। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবদুছ ছাত্তার শেখ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোংলা কাস্টমস কমিশনার সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে মোংলা বন্দরের অর্জিত সাফল্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন বন্দরের পরিকল্পনা প্রধান মোঃ জহিরুল হক এবং সদস্য (হারবার ও মেরিন) মোঃ আব্দুল বাতেন মিঞা। এলডিসিভুক্ত দেশ হতে বাংলাদেশের উত্তরণে বন্দরের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও চ্যালেঞ্জসমূহ নিয়ে আলোচনা করেন খুলনা প্রোকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. হারুনুর রশীদ।
সেমিনারে মোংলা বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বন্দর ব্যবহারকারী, সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।