ফাইভ-জি চালুর প্রস্তুতি নিচ্ছে অপারেটররা

প্রকাশঃ ২০১৯-০৪-০৮ - ১২:৩০

ঢাকা অফিস : ফাইভ-জি ইন্টারনেট চালুর জন্য এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশের টেলিকম অপারেটররা। তারা বলছে- স্পেকট্রামের দাম না কমালে এই হাইটেক সেবাতে ডেটা খরচ কমানো কঠিন হবে। কিন্তু পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ছাড়া ফাইভ-জি চালু হলে মানসম্মত সেবা পাবে না গ্রাহকরা- বলছেন টেলিকম বিশেষজ্ঞরা।

ড্রাইভিং সিটে কোনও চালক নেই। তবুও চীনের শহর সাংহাইয়ের সড়ক দাপিয়ে গাড়িটি চলছে একদম নিখুঁতভাবেই। এমন আরও অনেক কিছুই ঘটবে ফাইভ-জি ইন্টারনেটের জাদুতে- বলছে বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে।

ফোর-জি ইন্টারনেটের চেয়ে ফাইভ জির গতি হবে বহুগুণ। ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যেই বাংলাদেশে ফাইভ জি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ইতোমধ্যেই যার পরীক্ষা করেছে টেলিকম অপারেটর রবি।

রবি হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শাহেদ আলম জানান, ‘ফাইভ-জি’র ব্যবহারিক যে জায়গাগুলো এগুলো নিয়ে অনেক কাজ করার জায়গা রয়েছে। যেমন অনেকেই জানেন, কিছু দিন আগে ফাইভ-জি অপারেশনের মাধ্যমে দূরবর্তী স্থান থেকেও বিভিন্ন মেডিক্যাল অপারেশন হয়েছে। এই জিনিসগুলো বাণিজ্যিকভাবে আসতে একটু সময় লাগবে। এগুলো শুধুই পরিক্ষামূলকভাবে করা হয়েছে।’

বাংলাদেশে ফাইভ-জি স্পিড শুরুতে উন্নত বিশ্বের মত নাও হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলালিংক। বাংলালিংক চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স তাইমুর রহমান জানান, ‘ফাইভ-জি’র কিন্তু অনেক বেশি স্পেকট্রাম লাগবে। স্পেকট্রামের মূল্য এখন যা আছে, তা যদি থাকে তাহলে এটা সম্ভব হবে না। আমেরিকার ফাইভ-জি এবং বাংলাদেশের ফাইভ-জি একইরকম নাও হতে পারে।’

ফাইভ-জি ব্যবহারের জন্য নতুন হ্যান্ডসেট ও সিম রিপ্লেস করতে হবে গ্রাহকদের। গ্রামীণফোন হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত জানান, ‘যখন আমরা ফাইভ-জি চালু করবো, তখন সিম রিপ্লেস করতে হবে। মার্কেটে এখন ফাইভ-জি হ্যান্ডসেট তেমন একটা নেই, কিছু সংখ্যক রয়েছে।’

নতুন তরঙ্গ কেনাসহ পর্যাপ্ত বিনিয়োগ না হলে গ্রাহক সুবিধা বাড়বে না ফাইভ-জি নেটওয়ার্কে। টেলিকম খাত বিশেষজ্ঞ রোকন-উজ-জামান জানান, ‘একটা প্রযুক্তির উন্নয়নে অনেক বিনিয়োগ করতে হয়। এছাড়া ইকোসিস্টেমকে তৈরি করতে হয়। এখন এই ইকোসিস্টেম যদি তৈরি না হয়, বিনিয়োগ যদি ঠিকমত না হয়, এছাড়া বিনিয়োগ শুধু একজনের না, অনেক স্টেকহোল্ডারের হতে হবে। এর ফলে যা হবে এখান থেকে বিনিয়োগ রিটার্নটা যথেষ্ঠ পরিমাণে হবে না।’

২০২০ সাল নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের অনেক দেশে ফাইভ-জি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।