ফুলতলায় বিএনপি কর্মী জিকো হত্যায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাড়ে ৪ শতাধিক ব্যক্তি আসামী

প্রকাশঃ ২০২৪-০৮-২৯ - ২১:১১

তাপস কুমার বিশ্বাস, খুলনা// খুলনার ফুলতলায় বিএনপি নেতা সাজ্জাদুজ্জামান জিকো (৩৮) কে হত্যা এবং বিএনপির আরও ৩০/৪০ নেতাকর্মীকে জখম, ছিনতাই ঘটনায় ফুলতলা থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৮৫ ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে আরও ৪শ’ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খুলনা জেলা বিএনপির সম্পাদক এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, সাবেক এমপি শেখ হেলাল, সাবেক এমপি শেখ জুয়েল, শেখ সোহেল, শেখ রুবেল, শেখ বেলাল উদ্দিন বাবু, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সাবেক এমপি এস এম কামাল হোসেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, সাবেক এমপি আব্দুস সালাম মুর্শিদী, খুলনা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমডি বাবুল রানা, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত কুমার অধিকারী, সাবেক জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এ্যাড, সাইফুল ইসলাম, ফুলতলা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ শেখ আকরাম হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মৃনাল হাজরা, আশরাফুল আলম কচি, ফুলতলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলী আজম মোহন, ইউপি সদস্য ফারুক মোল্যা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মঈনুল ইসলাম নয়ন, সাধারণ সম্পাদক এস কে সাদ্দাম হোসেন, মাসুদ পারভেজ, মেহেদী আনাম রঞ্জু, কাজী সাজেদুল ইসলাম, কাজী জসিম উদ্দিন মুক্ত, কাজী রিফায়েত, কবির সরদার, খলিল শেখসহ ৮৫ ব্যাক্তির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪শ’ ব্যক্তিকে আসামী করা হয়। গত ২২ অক্টোবর ২০২২ খুলনা সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে সমাবেশে যোগদানের উদ্দেশ্যে ভৈরব নদের ফুলতলার শিকিরহাট থেকে ১০টি ট্রলারযোগে প্রায় ২ হাজার নেতাকর্মী রওনা দেয়। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ চন্দনীমহল কাটাবন এলাকায় পৌছালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া এজাহারভুক্ত আসামীদের নির্দেশনা এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলি, বোমা, রামদা, চাইনিজ কুড়াল, রড ও ইটপাটকেল দিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তারা ৮ লাখ টাকা মূল্যের শতাধিক মোবাইল, খেজুড়ি ভর্তি ৪ ডেক, ১ হাজার প্লেট, ৪শ’ টি গামলা লুট করে। এমনকি মোবাইলে থাকা বিকাশের টাকাও জোরপূর্বক তুলে নেয়। তাদের হামলায় অর্ধশত নেতাকর্মী গুরুতর জখম হলে তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা গ্রহণ করে। গুরুতর আহতের মধ্যে ফুলতলার প্রায়গ্রাম কসবা গ্রামের মৃতঃ শেখ শওকত হোসেনের পুত্র শেখ সাজ্জাদুজ্জামান ওরফে জিকো গত ২৪ নভেম্বর ২০২২ রাত আনুমানিক ১০ টায় পায়গ্রাম কসবার কাছারী হাটের বাজার থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পুনরায় তার উপর নৃশংস হামলা চালায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে গেলে সেখানে বাধা নিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। আসামীরা নিহত শেখ সাজ্জাদুজ্জামান ওরফে জিকোর মরদেহের ময়না তদন্ত ও দাফনে বাধা প্রদান করে। ওই সময় রাজনৈতিক কারণে থানায় এসে মামলা করা সম্ভব না হওয়ায় রুপসা উপজেলার মহিষাঘুনি গ্রামের বাসিন্দা বিএনপি কর্মী এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী বাদি হয়ে ফুলতলা থানায় মামলা (নং-০৮, তারিখ-২৯/০৮/২০২৪)