তাপস কুমার বিশ্বাস, ফুলতলা (খুলনা): সন্ধ্যা রাতে ফুলতলার পায়গ্রাম কসবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাবে রহস্যজনকভাবে দুধর্ষ চুরি সংগঠতি হয়েছে। চোরেরা ক্লবসিবল গেটের হুক ও দরজার হুক ভেঙে ল্যাবে ঢুকে ৮ লক্ষ টাকা মূল্যের ১৫টি সরকারি ল্যাবটবসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক এস এম মোর্শারফ হোসেন জানান, সোমবার দিবাগত সন্ধ্যা রাত সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে চোরেরা জলন্ত বৈদ্যুতিক বাল্ব ভেঙে স্কুল ভবনের দ্বিতীয় তলার ক্লবসিবল গেটের দুটি হুক ও দরজার ১টি হুক ভেঙে ল্যাবে প্রবেশ করে (এইচপি-২৫০) মডেলের ১৫টি সরকারি ল্যাবটব নিয়ে যায়। চুরিকৃত ল্যাবটবসহ আনুসঙ্গিক মালামালের আনুমানিক মূল্য ৮ লাখ টাকা। স্কুলের নৈশ প্রহরী শেখ সোলায়মান (৩২) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ঈশার নামাজ আদায় ও রাতের খাবারের জন্য বাড়িতে যান। সাড়ে ৯টার দিকে ফিরে এসে বৈদ্যুতিক বাল্ব ভাঙা এবং ভবনের ক্লবসিবল গেট ও ল্যাবের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে প্রধান শিক্ষককে মোবাইল ফোনে জানান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নৈশ প্রহরী শেখ সোলায়মানকে থানায় নিয়ে আসে। এদিকে ল্যাবে চুরি ঘটনায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির এক জরুরী সভা মঙ্গলবার বেলা ১১টায় প্রধান শিক্ষক এস এম মোর্শারফ হোসেনের পরিচালনায় ও তার সভাকক্ষে জরুরী সভা জাহাঙ্গীর বিশ^াসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিচালনা কমিটির সদস্য কাজী আনোয়ার হোসেন বাবু, কাজী শাকিল হোসেন, শিক্ষক গোবিন্দ কুমার নাগ, তাহেরা নাসরিন প্রমুখ। সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রধান শিক্ষক এস এম মোর্শারফ হোসেন বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ সজীব খাঁন ও ওসি (তদন্ত) হাওলাদার মোঃ মাসুম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।