তাপস কুমার বিশ্বাসঃ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ গভীর রাতে খুলনার ফুলতলা ভৈরব নদের ভুঁইয়া বাড়ি ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও ট্রলারসহ ৮ ব্যক্তিকে আটক করে। আটককৃতরা সুন্দরবন এলাকার কুখ্যাত বনদস্যু বড়ভাই বাহিনীর সদস্য এবং তারা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ব্যাপারে ফুলতলা থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার গভীর রাতে খুলনা জেলা পুলিশের ওসি সিকদার আককাছ আলী (পিপিএম), পুলিশ পরিদর্শক সেখ কনি মিয়া ও এসআই অর্জুন কুমার দাসের নেতৃত্বে পুলিশ ভৈরব নদের ফুলতলার দামোদর ভুঁইয়া বাড়ি ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহেভাজন একটি ট্রলার আটক করে। এ সময় ঐ ট্রলার থেকে ৮ ব্যক্তিকে আটক ও ১টি পাইপগান, ২টি বন্দুকের কার্তুজ, ৮টি ছোরা, ৬০০ লিটার ডিজেল ও বাজারের সওদা উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা হলো পাইকগাছার দোখোলা কৃষ্ণনগর গ্রামের আনোয়ার সরদারের পুত্র মজিদ সরদার (৪০), সাতক্ষীরা তালার মোড়াগাছা গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার সরদারের পুত্র নুর মোহাম্মদ সরদার (৫০), খুলনা শিপইয়ার্ড দারোগাবাড়ী এলাকার হালিম হাওলাদারের পুত্র মোঃ কাউছার হাওলাদার (৩৫), লবনচরা এলাকার মৃত নাজির মিয়ার পুত্র আব্বাস আলী ওরফে আলী (৩০), বাগেরহাট রামপাল থানার কালিগঞ্জ গ্রামের মৃত আবুল হোসেন মল্লিকের পুত্র মোঃ গোলাম কিবরিয়া মল্লিক (২৪), সাতক্ষীরা দেবহাটা থানার হাদীপুর গ্রামের সিদ্দিক মোড়লের পুত্র মনিরুজ্জামান মোড়ল ওরফে মনির (৩০), খুলনার কাস্টমঘাট এলাকার মোঃ আনোয়ার শেখের পুত্র জামাল শেখ (৩৫) ও বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ থানার কালিকাবাড়ী গ্রামের মোহাম্মদ খন্দকারের পুত্র আলামিন খন্দকার ওরফে আলাল (৪৮)। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র ও ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তবে অভিযানকালে বাহিনীর আরও ৪/৫ সদস্য পালিয়ে যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ব্যাপারে এসআই অর্জুন দাস বাদি হয়ে ফুলতলা থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। আটককৃতদের গতকাল (বৃহস্পতিবার) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। পালিয়ে যাওয়া বনদস্যুদের আটকের ব্যাপারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিকদার আককাছ আলী জানিয়েছেন।