তাপস কুমার বিশ্বাস, ফুলতলা (খুলনা)// ফুলতলায় কলেজ ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে সৈয়দ আলিফ রোহান হত্যা ঘটনায় তার পিতা মামলা করেছেন।। পুলিশ শুক্রবার বিকালে এজাহারভ‚ক্ত আসামী দীপ্ত সাহা (২১) কে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে আলিফের জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়।
নিহত কলেজ ছাত্র সৈয়দ আলিফ রোহানের লাশের ময়না তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার বাদ এশা পায়গ্রাম কসবা মীরপাড়া মাঠে জানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। এদিকে নিহত রোহানের পিতা সৈয়দ আবু তাহের বাদি হয়ে ঘটনায় জড়িত ৫ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ শুক্রবার বিকালে ফুলতলার দামোদর নিজ বাড়ি এলাকা থেকে এজাহারভুক্ত আসামী দীপ্ত সাহাকে গ্রেফতার করে। সে ফুলতলা বাজারের গুড় ও চিনি ব্যবসায়ী দীপক সাহার পুত্র।
মামলার বাদি সৈয়দ আবু তাহের বলেন, গত ৩/৪দিন পূর্বে পায়গ্রামকসবা এলাকার একটি স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে কিশোর গ্যাং এর সদস্য শান্ত-হাসনাত-তাছিন গ্রæপ মেয়েদের ছবি তোলা ও উত্যক্ত করলে আমার পুত্র রোহান বাধা দেয়। এ ঘটনায় ঐ কিশোর গ্যাং এর সদস্য রোহানের উপর ক্ষিপ্ত থাকে এবং তাকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে। বৃহস্পতিবার রোহান ক্লাস করতে কলেজে আসে। কলেজের দ্বিতীয় গেট দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের পর পরই ফোনে খবর পেয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা মটরসাইকেল যোগে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। অপরদিকে কলেজের পরিবেশ কমিটির সদস্যবৃন্দ বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে দেখতে পেয়ে অধ্যক্ষকে অবহিত করেন। তবে অধ্যক্ষ যথাসময়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ঐ গ্যাং সদস্যরা নির্বিঘেœ রোহানকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে তাজপুর গ্রামের দিকে চলে যায়।
ফুলতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইলিয়াস তালুকদার বলেন, ফুলতলার শান্ত-হাসনাত-তাছিন গ্রæপের সদস্যরা একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক মহলের প্রশ্রয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় কলেজ ছাত্র খুনের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই গ্রæপের সদস্য দীপ্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে । বাকিদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকাই ছবির এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্র নায়িকা শাহনূর বলেন, রোহান আমার আপন খালাত ভাই। ভাই হত্যার বিচারের দাবিতে আগামী রোববার বেলা ১১টায় কলেজ ক্যাম্পাস ও ফুলতলা বাজার এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হবে। এ সময় মুঠোফোনে তিনি আরও জানান, ফুলতলায় কিশোর গ্যাং এর অত্যাচারে সাধারণ মানুষ নির্যাতিত ও আতঙ্কিত।
থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস এম শাহাদাত হোসেন বলেন, ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত গ্রেফতারকৃত দীপ্ত সাহাকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার অগ্রগতি হতে পারে।