তাপস কুমার বিশ্বাস, ফুলতলা (খুলনা)// ফুলতলায় শিশু মোমিন সরদার (১ বছর ৭ মাস) কে গর্তের পানিতে চুবিয়ে হত্যা ও লাশ গুমের চেষ্টা ঘটনায় মা, বাবা এবং নানীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সাবেক সতীন ও তার প্রেমিককে ফাঁসাতে গিয়ে নিজ পুত্র মোমিনকে হত্যার দায় স্বীকার করল তার মা ও নানী। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মা সায়রা বেগম এবং নানী আমেনা রোববার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, রোববার নিহত শিশু মোমিন সরদারের নানা মোঃ আবুল খায়ের (৬২) বাদি হয়ে ফুলতলা থানায় ৩ ব্যক্তিকে আসামী করে মামলা (১৩) করেন। আসামীরা হলেন শিশু মোমিনের মা সায়রা বেগম (২৯), পিতা মোঃ হারিছ সরদার ওরফে সোহেল (৩৫) এবং নানী মোছাঃ আমেনা বেগম (৪৫)। আসামীদের স্থায়ী ঠিকানা গোপালগঞ্জ গোপিনাথপুর এলাকায় হলেও বর্তমানে তারা আলকা গ্রামের মোস্তফা কাজীর ভাড়াটিয়া। পুলিশ এজাহারভুক্ত তিন আসামীকেই গ্রেফতার করে বোরবার খুলনার বিজ্ঞ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের নাজমুল কবীরের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য প্রেরণ করা হয়। আদালতে সায়রা বেগম ও আমেনা বেগমের জবানবন্দি গ্রহণের পর বিজ্ঞ আদালত আসামীদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। পুলিশ জানায়, হারিছ সরদার ওরফে সোহেল এর দ্বিতীয় স্ত্রী ফাহিমা বেগম ওরফে ফারিয়া (১৫) স্বামী হারিছকে তালাক দিয়ে সুপার জুট মিলের শ্রমিক রাকিব (২৫) কে বিয়ে করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামীরা রাকিব ও ফারিয়াকে ফাঁসাতে নিজ শিশু পুত্র মোমিনকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী হারিছ সরদারের উপস্থিতিতে গত শুক্রবার রাত পৌনে ৯টায় সায়েরা ও আমেনা মোমিনকে নিয়ে আলকায় মিজান ভুইয়ার ভাটায় মাটিকাটা গর্তের পানিতে ফেলে হত্যা করে তার লাশ গুমের চেষ্টা করে। পরদিন সন্ধ্যায় খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার ও ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।