ফুলতলা উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে দীর্ঘদিনের বাসস্ট্যান্ড এলাকার জলাবদ্ধতার নিরসন

প্রকাশঃ ২০২২-০৮-১৪ - ২২:৫২

তাপস কুমার বিশ্বাস, ফুলতলা (খুলনা)// ফুলতলার চৌরাস্তার বাসস্ট্যান্ড এলাকার দীর্ঘদিনের জলবদ্ধতা নিরসনে উপজেলা পরিষদ একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। উপজেলা পরিষদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকার ভুক্তভোগী মহল। তারা বলেছে, বহুদিন পরে হলেও উপজেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় এলাকার ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও পথচারীরা অনেকটা স্বস্তি লাভ পেয়েছে।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা বলেন, বর্ষাকাল এলেই জামিরা সড়ক, ঋষিপাড়া সড়ক এবং শহীদ আসাদ- রফি সড়কের পানি এসে বাসস্ট্যান্ডেই জমা হলে ফুলতলা বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পার্শ্বে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো। এই পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থাই ছিল না। খুলনা-যশোর মহাসড়কের পশ্চিম পাশ দিয়ে বেশ কয়েকবার সেমি পাকা ড্রেন (অস্থায়ী) করে পানি নিষ্কাশনের প্রচেষ্টা চালিয়েছেন উপজেলা পরিষদ ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। কিন্তু তাতেও কোন সুফল আসেনি। জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্থ হতো সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত উপজেলা আওয়ামীলীগের অফিস, বাসের একাধিক কাউন্টার, হোটেল, দোকানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। বর্ষা হলেই এ জায়গায় চলাচল করার কোন অবস্থাই থাকে না।

উপজেলা প্রকৌশলী ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন, ফুলতলা বাজারের চৌরাস্তার জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে পুরোনা ড্রেন সংষ্কার ও খুলনা-যশোর মহাসড়কের পাশে মিছরী দেওয়ান শাহ সড়কের পশ্চিম পাশে একটি হাউজ নির্মান করা হয়েছে। আশেপাশের পানি এই হাউজে জমা হবে। পরে ওই পানি স্যলো পাম্প দিয়ে খুলনা- যশোর মহাসড়কের তল দিয়ে পাইপের মাধ্যমে মিছরী দেওয়ান শাহ সড়কে নির্মিত ড্রেন দিয়ে ভৈরব নদীতে ফেলা হবে। যার ফলে বর্ষার পানি বাসস্ট্যান্ডে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করতে পারবে না।
এ কারণে ভুক্তভোগী ব্যববসায়ী ও পথচারীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আকরাম হোসেনের আন্তরিকতা ও একান্ত প্রচেষ্টায়। উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু তাহের রিপন জানান, উক্ত প্রকল্পটি ২৪ জুন উদ্বোধন করা হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পের কাজটি শেষ হয়েছে। এটি উদ্বোধন করেছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আকরাম হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির খুলনা জেলা সাধারণ সম্পাদক কমরেড আনছার আলী মোল্যা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ¦ কে এম জিয়া হাসান তুহিন, ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ মোহাম্মাদ ভুইয়া শিবলু, আওয়ামীলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন বাবলু, আলী আজম মোহন, যুবলীগ নেতা শহীদুল্লাহ প্রিন্স, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল আলম কচি প্রমুখ। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে ইতিমধ্যে ফুলতলার চৌরাস্তাসহ আশেপাশের সাধারণ ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও পথচারীরা সুবিধা ভোগ করতে শুরু করেছে।