ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি//ভূমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, ফুলতলা-ডুমুরিয়া একসময় সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য ছিল। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর সেই অবস্থার অবসান ঘটে। এখন এ এলাকার মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করছে। হঠাৎ আবার সন্ত্রাসী চক্র হামলা চালিয়ে জানান দিচ্ছে আমরা মাঠে আছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান একসময় উদারতা দেখিয়ে অন্যায়কারীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। ঠিক একইভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে দেশের অনেক সন্ত্রাসী অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমার্পন করলে তাদেরকে অর্থ সহায়তা দিয়ে পুনর্বাসন করেছেন। আমরাও চেষ্টা করেছি ফুলতলা ও ডুমুরিয়াকে সন্ত্রাসমুক্ত করার। এ সময় তিনি পুলিশ প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ফুলতলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোল্যা হেদায়েত হোসেন লিটু, দামোদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুজ্জামান সবুজসহ ৩ জনের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। সরকারের সদিচ্ছায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও সরকার একই পরিবেশে সম্পন্ন করার চেষ্টা করছে। কিন্তু কেউ যদি এটাকে বানচাল করার চেষ্টা করে, তাহলে সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করা হবে। ফুলতলা-ডুমুরিয়ায় রক্ত নিয়ে সন্ত্রাসীদের আর খেলতে দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে সকল আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
ফুলতলা উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে শনিবার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মৃনাল হাজরার সভাপতিত্বে এবং উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ প্রিন্সর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বিএমএ সালাম, জেলা সদস্য বিলকিস আক্তার ধারা, খানজাহান আলী থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফারজানা ফেরদৌস নিশা, ওসি মোঃ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার কাজী জাফর উদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ইউপি চেয়ারম্যান সরদার মনিরুল ইসলাম, যুবলীগের সভাপতি এস কে আলী ইয়াছিন, ফুলতলা বণিক কল্যাণ সোসাইটির সাবেক সভাপতি এস রবীন বসু প্রমুখ।