ফুলবাড়ীগেট (খুলনা) : নগরীর খানজাহান আলী থানাধিন আটরা পালপাড়ায় সাবেক ফুটকর্মকর্তা শেখ আব্দুল জব্বারের মেয়ের লিপি খাতুনের বাড়ীতে হাত-মুখ বেধে তাকে বেধে রেখে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ ডাকাতির মামলা না নেয়ায় অবশেষে দায়সারা চুরির মামলা গ্রহন করেছে। এই ঘটনায় এজাহারে আসামীর নাম উল্লেখ থাকলেও পুলিশের অজ্ঞাতনামা চোরেরা উল্লেখ করে এফআইআর দাখিল করেছেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের রহস্যজনক ভুমিকায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মামলার এজাহার এবং ভুক্তভোগী সুত্রে জানাগেছে, গত ১৯ অক্টোবর কলিপুজার রাতে লিপি খাতুনের বাড়ীর নিচতালার গেটের তালা ভেঙ্গে মুখোশধারী ৩/৪ জন ব্যক্তি দ্বিতীয় তালায় লিপি খাতুনে কক্ষে প্রবেশ করে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তার হাত-মুখ ওরনা দিয়ে বেধে তাকে বেধে রেখে আলমারী থেকে দেড়ভরি ওজনের স্বর্ণের ১টি চেইন, ১ ভারী ওজনের এক জোড়া রুলী, আংটি, রুপার অলঙ্গার, নগদ ১৫ হাজার টাকা সহ প্রায় ২ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় তিনি মনোজ পাল নামে এক ব্যক্তিকে চিনে ফেলায় চলে যাওয়ার সময় তারা নাম প্রকাশ করলে তাকে হত্যার হুমকি এবং অকথ্য ভায়ার কাগীগালাজ দিয়ে চলে যায়। এ ব্যাপারে মনোজ পালসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ১২ তাং ২০/১০/১৭)। ভুক্তভোগি লিপি খাতুন বলেন, আমার ঘরে প্রবেশ করে ডাকাতি করার সময় আমি মনোজ পালকে চিনতে পরি। অসুস্থ পিতা-মাতা ছাড়া বুঝার মতো আমার কোন অভিভাবক না থাকায় আমি থানায় গিয়ে তার বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা করতে চাইলে পুলিশ অজ্ঞাত কারনে ডাকাতি মামলা নিতে অপরাগতা প্রকাশ করে। এই ঘটনায় পুলিশ মনোজকে আটক করে থানায় নিয়ে কিছু সময় পর ছেড়ে দেয়। পুলিশ ডাকাতির ঘটনাটিকে আমাকে দিয়ে চুরির মামলা করতে বাধ্য করেছেন বলেও তিনি জানান। ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত চিহিৃত ব্যক্তিদের গ্রেফতার না করায় বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তা হিনতায় ভুগছি। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই বাবলু লিপি খাতুনের অভিযোগ গুলি এড়িয়ে গিয়ে বলেন প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনে জন্য তদন্ত চলছে। তদন্তে যাদেও বিরুদ্ধে সপৃক্ততার প্রমান পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে এলাকাবাসী ঘটনার শুষ্ট তদন্তপুর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তার হস্থক্ষেপ কামনা করছেন।