বঙ্গবন্ধু’র ভাস্কর্য্য ভেঙ্গে জামাতীরা স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালি জাতির অস্তিত্বে আঘাত হেনেছে: বিক্ষোভ সমাবেশে খুলনা সিটি মেয়র

প্রকাশঃ ২০২০-১২-০৬ - ২১:২৫

বিজ্ঞপ্তি: 

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু’র ভাস্কর্য্য ভেঙ্গে জামায়াত উগ্রজঙ্গীবাদীরা বাঙালি জাতির অস্তিত্বে আঘাত হেনেছে। ওদেরকে এখনই সমুলে উৎপাটন করতে হবে। তিনি বলেন, উগ্র জঙ্গীবাদী জামায়াতীরা দেশ ধ্বংসে বার বার চেষ্টা করে যখন হেরে গিয়েছে। তখন আইএসআই-এর অর্থায়নে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে বঙ্গবন্ধু’র ভাস্কর্য ভাংচুর এবং গুলি বর্ষণ করে দেশকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। পাকিস্তানীদের চর হিসেবে জামায়াত বিএনপি আজ দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে এই চক্রান্ত করছে। তিনি বলেন, বিজয়ের এই মাসে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওই চক্রান্তকারীদের ’৭১-এর মত চিরতরে স্তব্দ করে দিতে হবে। তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে বাংলার দামাল ছেলেরা তৎকালীন সাড়ে সাত কোটি বাঙালির মুক্তির লক্ষ্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলো। বঙ্গবন্ধু একটি ধর্ম নিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু সেই স্বপ্নকে কোন মৌলবাদির কাছে ধ্বংস হতে দেয়া যাবে না। সে কারনেই সকল অপশক্তিকে চিহ্নিত করে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিহত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্নে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গতকাল রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় দলীয় কার্যালয় চত্বরে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু’র ভাস্কর্য্য ভাংচুরের প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, নুর ইসলাম বন্দ, শেখ মো. ফারুক আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ কামাল, শ্যামল সিংহ রায়, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, এ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পী, মো. সফিকুর রহমান পলাশ, মীর বরকত আলী, এস এম হাফিজুর রহমান। সভা পরিচালনা করেন মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা কাজি আমিনুল হক, মকবুল হোসেন মিন্টু, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, কামরুল ইসলাম বাবলু, হাফেজ মো. শামীম, শেখ নুর মোহাম্মদ, মো. শহিদুল ইসলাম, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, কাউন্সিলর শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, এস এম আকিল উদ্দিন, কাউন্সিলর আনিসুর রহমান বিশ্বাষ, মো. মোতালেব মিয়া, রনজিত কুমার ঘোষ, শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, মাহাবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, জিয়াউল ইসলাম মন্টু, এ্যাড. মো. ফারুক হোসেন, আব্দুল হাই পলাশ, বাবুল সরদার বাদল, ফেরদৌস হোসেন লাবু, মঈনুল ইসলাম নাসির, শেখ আব্দুল আজিজ, মুন্সি আইয়ুব আলী, চ. ম. মুজিবর রহমান, শেখ জাহিদ হোসেন, মো. নুর ইসলাম, শেখ আবিদ উল্লাহ, হাসান ইফতেখার চালু, ইউসুফ আলী খান, শেখ মো. রুহুল আমিন, সরদার আব্দুল হালিম, মো. জাকির হোসেন, মীর মো. লিটন, মো. ফয়জুল ইসলাম টিটু, এমরানুল হক বাবু, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, শেখ এশারুল হক, মো. শিহাব উদ্দিন, মো. নজরুল ইসলাম, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, মো. আজম খান, অহিদুর রহমান পলাশ, মো. কামরুল ইসলাম, আব্দুল কাদের শেখ, কাজী কামাল হোসেন, শওকাত হোসেন, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, কবীর পাঠান, তাজুল ইসলাম মোস্তফা শিকদার, মহিদুল ইসলাম মিলন, ইয়াছিন আরাফাত, কে এম শাহীন হাসান, মশিউর রহমান সুমন, সোহেল বিশ্বাস, আসাদুজ্জামান বাবু, মাসুদ হোসেন সোহান, রনবীর বাড়ৈই সজল, ইখতিয়ার উদ্দিন মোল্লা, জহির আব্বাস, সোহান হোসেন শাওন, মাহমুদুর রহমান রাজেস, আব্দুল কাদের সৈকত, শাহীন আলম, নিশাত ফেরদৌস অনি, রুম্মান আহমেদ, ওমর কামাল প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে বিশাল এক বিক্ষোভ মিছিল নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।