বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ইস্যুতে উসকানিমূলক প্রচারে যুক্ত ২৫ জন গোয়েন্দা নজরদারিতে

প্রকাশঃ ২০২০-১১-২৯ - ২১:২৭

চট্টগ্রাম ব্যুরো:বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ইস্যুতে উসকানিমূলক প্রচার ছড়ানোর অভিযোগে চট্টগ্রামের ২২ থেকে ২৫ জনকে নজরদারিতে রেখেছে একাধিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পাশাপাশি জেলা পুলিশ, সিএমপি ও ঢাকার সাইবার ক্রাইম ইউনিটও এসব ব্যক্তিদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

পুলিশ বলছে, মহানবীকে (স.) নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের জেরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে বিক্ষোভ হয়। এখন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উত্তপ্ত বিতর্ক হচ্ছে। ধর্মীয় ইস্যুতে কেউ উসকানি দিচ্ছে কি না, সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। সিআইডির পাশাপাশি সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থাও এ বিষয়ে কাজ করছে।

প্রভাবশালী একটি গোয়েন্দা সংস্থার করা তালিকায় চট্টগ্রামের ২২ থেকে ২৫ জনের নাম উঠে এসেছে। সেই তালিকায় হেফাজত ইসলামের সিনিয়র কয়েকজন নেতার নামও রয়েছে। এই তালিকায় ‘হ’, ‘এ’, ‘জা’, ‘মী’, ‘কা’,‘ আ’,‘না’,‘ তা ’ অদ্যাক্ষরের ব্যক্তির নাম রয়েছে। তাদের মধ্যে পিতা-পুত্রসহ সংগঠনটির দায়িত্বশীল বেশ কয়েকজন নেতা রয়েছেন।

এর আগে গত ৭ নভেম্বর পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র এবং এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা এক ভিডিও বার্তায় ধর্মীয় ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষেত্রে সচেতন হতে অনুরোধ জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের। ধর্মীয় কোনো বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উত্তেজনা প্রকাশ না করারও অনুরোধ ছিল তার।

বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে মো. সোহেল রানা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ধর্মের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও আস্থা। সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে কিছু দুষ্কৃতকারী, কিছু অসৎ মানুষ, অপরাধমনস্ক মানুষ ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয়ে মিথ্যাচার করে, গুজব ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়েছেন। এর বলি হয়েছেন অনেক নিরীহ মানুষ।’

‘প্রয়োজনে ৯৯৯-এ ফোন করে তথ্যের সত্যতা যাচাই করে নিতে পারেন বা স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করতে পারেন। এ ছাড়া ধর্মীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার মতো আপনাকে সঠিক তথ্য দেওয়ার মতো আলেম-ওলামা রয়েছেন। কারও সঙ্গে পরামর্শ না করে প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করবেন না।’- বলেন সোহেল রানা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) এস এম মোস্তাক আহমেদ কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। একই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেলও।

তবে পুলিশের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ইস্যুতে চট্টগ্রামের যেসব ব্যক্তি ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে উসকানিমূলক প্রচার ছড়াচ্ছে তাদের নজরদারি করা হচ্ছে।