বিজ্ঞপ্তি:
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডি এ বাবুল রানা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ভূলুন্ঠিত করার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছিল। ১৯৭১ সালে আন্তর্জাতিক চক্র ও তাদের এদেশীয় দোসরদের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকেই বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর ব্লুপ্রিন্ট রচনা করে কুচক্রীরা। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতির মুক্তিদাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পরিকল্পনা শুরু হয়। ৭১-এর যুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ এবং বাংলাদেশের অগ্রগতি স্তব্ধ করে দিয়ে উগ্রবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য এই কিলিং মিশন চালায় তারা। পাকিস্তানের আইএসআই এর সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান ও পরবর্তীতে তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিয়মিত বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতেন। জিয়া যেমন এই খুনিদের রক্ষার জন্য ইনডেমনিটি আইন করেছিল, তেমনি খালেদা জিয়াও খুনিদের জন্য বরাদ্দ রেখেছিলেন অবারিত ভালোবাসা। এমনকি গ্রেফতার হওয়া খুনিকে পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছেন জেল থেকে, মানবসম্পদ ব্যবসার নামে খুনিদের কোটি কোটি ডলার পাচারের সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে দৈহিকভাবে হত্যা করা হলেও তার মৃত্যু নেই। তিনি চিরঞ্জীব। কেননা একটি জাতিরাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্থপতি তিনিই। যতদিন এ রাষ্ট্র থাকবে, ততদিন অমর তিনি। সমগ্র জাতিকে তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রেরণায় প্রস্তুত করেছিলেন ঔপনিবেশিক শাসক-শোষক পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে। তাই চিরঞ্জীব তিনি এ জাতির চেতনায়। বঙ্গবন্ধু কেবল একজন ব্যক্তি নন, এক মহান আদর্শের নাম। যে আদর্শে উজ্জীবিত হয়েছিল গোটা দেশ। বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র আর ধর্মনিরপেক্ষ দর্শনে দেশের সংবিধানও প্রণয়ন করেছিলেন স্বাধীনতার স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। শোষক আর শোষিতে বিভক্ত সেদিনের বিশ্ববাস্তবতায় বঙ্গবন্ধু ছিলেন শোষিতের পক্ষে।
গতকাল শুক্রবার বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারবর্গের ৪৬তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুুলু বিশ^াস। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মল্লিক আবিদ হোসেন কবির, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বাচ্চু, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক শেখ ফারুক হাসান হিটলু, সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, থানা আওয়ামী লীগ নেতা শরীফ এনামুল কবির, মোক্তার হোসেন, ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ উল্লাহ, সোনাডাঙ্গা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুম্মান আহমেদ। সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশার পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগে নেতা অধ্যাপক আলমগীর কবির, কামরুল ইসলাম বাবলু, মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ নুর মোহাম্মদ, রুনু ইকবাল বিথার, কাউন্সিলর মাহমুদা বেগম, কাউন্সিলর আমেনা হালিম বেবি, মোহাম্মদ আমির হোসেন, জান্নাতুল ফেরদৌস পিকুল, এজাজ পারভেজ বাপ্পি, কামরুজ্জামান, মোঃ রুহুল আমিন খান, এডভোকেট শামীম আহমেদ পলাশ, মেহজাবিন খান, এডভোকেট সোহেল চৌধুরী, তোতা মিয়া বেপারী, অধ্যাপক এবিএম আদেল মুকুল, মোস্তফা কামাল, শহীদ উল্লাহ চৌধুরী শিপন, খাজা মইনুদ্দিন, নাসরিন সুলতানা, আসাদুজ্জামান মিল্টন, মোহাম্মদ রাজ্জাক হোসেন, মোস্তাক আহমেদ টুটুল, সোহেল চৌধুরী, জসিম উদ্দিন লিটন, চ ম মুজিবুর রহমান, শেখ জাহিদুল হক, মোঃ জাহিদুল ইসলাম, হাজী মোতালেব মিয়া, মীর মোহাম্মদ লিটন, মোঃ জাকির হোসেন, নুর জাহান রুমি, নূরানী রহমান বিউটি, লুৎফুন নাহার লিলি, সাবিয়া ইসলাম আঙ্গুর, আইরিন নাহার চৌধুরী, আসমা বেগম, মো. শহীদুল হাসান, আশরাফ আলী হাওলাদার শিপন, ইখতিয়ার উদ্দিন মোল্লা, মাহমুদুর রহমান রাজেশসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
শোকসভা শেষে ১৫ আগস্টে শাহাদাৎ বরণকারী সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মোঃ সাব্বির।