ইউনিক ডেস্ক : শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি বলেছেন, অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা দিবস পেয়েছে। তাই স্বাধীনতা দিবস প্রতিটি মানুষের কাছে লালিত একটি স্বপ্ন। বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে প্রতিজ্ঞা ও সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের হাত থেকে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতা। স্বাধীনতা দিবস অর্থাৎ ২৬ মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা কোন আবেগময় ঘোষণা নয়। ২৬ মার্চের পেছনে রয়েছে বাঙালির আত্মত্যাগ, আত্মবিসর্জন ও আন্দোলন-সংগ্রামের সুদীর্ঘ রক্তাক্ত পথ। এই অমসৃন পথ পাড়ি দিয়ে বাঙালি জাতি আরেক রক্তাক্ত পথে চলতে শুরু করল। অতঃপর দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধ, সংগ্রাম, মৃত্যু, লাঞ্ছনা ও চরম আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা লাভ করি বিজয়। অর্জন করি সবুজ-লালের মিশ্রণে তৈরি একটি পতাকা, একটি গর্বিত ভূ-খণ্ড। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র সাধারণ নির্বাচন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান- এরকম অগণিত আন্দোলন সংগ্রামের ভেতর দিয়ে বাঙালি জাতি যে প্রত্যাশাকে লালন করে অগ্রসর হয়েছিলো ২৬ মার্চে সেই প্রত্যাশা, সেই স্বপ্ন পরিণত হয়েছিল মহান স্বাধীনতা লাভের আকাঙ্খায়। বঙ্গবন্ধু বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে। আসুন আমরা জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি। যেখানে বাংলাদেশ হবে একটি স্মার্ট দেশ।
গত রোববার সকালে দলীয় কার্যালয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। এ সময় বক্তৃতা করেন মহানগর সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, এড. মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, রনজিত কুমার ঘোষ, মো. সফিকুর রহমান পলাশ।
মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, কামরুল ইসলাম বাবলু, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, মোজাম্মেল হক হাওলাদার মাহবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আইয়ুব আলী, শেখ জাহিদুল হক, বাবুল সরদার বাদল, আব্দুল হাই পলাশ, শেখ আব্দুল আজিজ, এ্যাড. ফারুক হোসেন, শেখ এশারুল হক, মো. জাকির হোসেন, মো. শিহাব উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোতালেব হোসেন, পীর আলী, এম এ নাসিম, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, এড. শামীম আহমেদ পলাশসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে-সাথে গল্লামারী স্মৃতি সৌধে শহীদদেও প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, সকাল ৯টায় দলীয় কার্যালয় হতে স্বাধীনতা র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।