বটিয়াঘাটায় চাঞ্চল্যকর তিলত্তমা হত্যা রহস্য উন্মোচন

প্রকাশঃ ২০২১-১২-২০ - ১৮:১১

বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি : বটিয়াঘাটায় চাঞ্চল্যকর তিলত্তমা মন্ডল ওরফে পুতুল (৪০)হত্যা মামলায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে যেতে বসেছে প্রতিবেশী ভগ্নিপতি প্রকাশ মিস্ত্রি। গত রবিবার ও সোমবার দুইদিন ধরে ১৬১ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নিজেই হত্যার সাথে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে।পুলিশ জানায়, হত্যায় ব্যবহৃত একটি ধারালো দা ও বাটখারা ঘাতক প্রকাশের স্বীকারোক্তি মোতাবেক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ এবং ১৬৪ ধারায় গতকাল সোমবার আদালতে স্বীকারোক্তিও দেওয়ার কথা রয়েছে প্রকাশের। ‌পুলিশের সন্দেহ হলে রবিবার প্রকাশ ও তার স্ত্রী দিপিকা মিস্ত্রীকে সকালে থানায় আনলে পৃথক পৃথক জিজ্ঞাসাবাদে দিপিকা মিস্ত্রি তাঁর স্বামী প্রকাশ মিস্ত্রী নিজেই এ হত্যাকান্ড ঘটিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘাঁয়েল করতে তাঁদেরকে চিনে ও দেখে ফেলেছে বলে ঘোষণা দেয়।পরবর্তীতে পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে প্রকাশ হত্যার দ্বায় স্বীকার করে ওই রাতের লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দেয়।গতকাল সোমবার আদালতে ১৬৪ ধারায় প্রকাশের স্বীকোরোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার কথা রয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানায়।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই প্রভাষ সাহা, হত্যাকারী প্রকাশ মিস্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী দিপিকা মিস্ত্রী আদালতে অবস্হান করছিলো বলে জানা গেছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে প্রকাশের স্ত্রী দিপিকা জানায়,প্রতিবেশী শ্যালিকা পুতুলের সাথে পরকীয়ার জেরে উক্ত হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে স্বামী প্রকাশ।তার সাথে নিহত তিলকতমা মন্ডল ওরফে পুতুল এর দীর্ঘদিন যাবৎ পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলছিল । গত রবিবার পুতুল তার সাথে তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে । তখন স্বামী প্রকাশ ও পুতুলের পরকীয়া প্রেমে সে বাঁধা দেয় । পরবর্তীতে ওই রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়লে আমার স্বামী তাকে কুপিয়ে হত্যা করতে গেলে তাঁর আত্ম চিৎকারে বোন পুতুল বাঁধা দেয়।প্রকাশ তখন বাটখারা দিয়ে পুতুলের মাথায় আঘাত করে ও দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে প্রশাসন সহ পুতুলের পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিতে ফেলতে থাকে । এক পর্যায়ে নিহতের বড় ভাই রাজেন্দ্রনাথ মন্ডলকে বাদি করে প্রতিপক্ষের ৬ জনকে এজাহার ভুক্ত আসামি করে গত ১৩ ডিসেম্বর ৩ নং হত্যা মামলা দায়ের করে । গত ১৪ ডিসেম্ব আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করলে ৪ জনের ৩ দিন এবং ২ জনের ২ দিন করে পৃথক পৃথক রিমান্ড মঞ্জুর করেন । সোমবার ২ জনের রিমান্ড শেষে তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করে এবং বাকি ৪ জনের রিমান্ড চলমান রয়েছে পুলিশ জানায়।সবমিলিয়ে চাঞ্চল্যকর তিলোত্তমা মন্ডল ওরফে পুতুল হত্যার মোটিভ উদঘাটনে সক্ষম হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।