১০৮ জাতের আমন প্লট পরিদর্শণ
বিজ্ঞপ্তি : এলাকা উপযোগী আমন ধানের জাত নির্বাচনের লক্ষ্যে গতকাল বেলা বারটায় বটিয়াঘাটার গঙ্গারামপুরে অনুষ্ঠিত হলো কৃষক মাঠ দিবস। মিজরিও-জার্মানীর সহায়তায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লোকজ এবং গঙ্গারামপুর কৃষক সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই গাইন। ১০৮ জাতের ধান গবেষণা প্লটে র্যাংকিং শেষে গঙ্গারামপুর স্টার ইউনিট ক্লাব মাঠে কৃষক মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, লোকজ মৈত্রী কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি রবীন্দ্র নাথ মণ্ডল। লোকজ-এর নির্বাহী পরিচালক দেবপ্রসাদ সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি অফিসার মো: আবু বকর সিদ্দীক, সাংবাদিক শেখ আব্দুল হামিদ এবং সাংবাদিক রিংটন মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন।
মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, কৃষক প্রতিনিধি দিপ্তী মণ্ডল, ফজলুর রহমান লাভলু, আশালতা ঢালী, আরুণি সরকার, হিরণ্ম মণ্ডল, সন্দীপ দাশ, আশিষ মণ্ডল, মৃন্ময় রায়, বন্দনা রায়, দিপক মণ্ডল, অপূর্ব মণ্ডল অপু, চন্দনা সরকার, লোকজ-এর সমন্বয়কারী প্রমুখ। মাঠ দিবসে বটিয়াঘাটা সদর, গঙ্গারামপুর, সুরখালী ও ভান্ডারকোট ইউনিয়নের ৩০টি কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
অংশগ্রহণকারীরা আমন ধানের জাত নির্বাচন, সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণে ১০৮ প্রজাতির স্থানীয় প্রজাতির ধানের পিভিএস প্লট পরিদর্শন করে র্যাংকিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন এলাকা উপযোগী ২১টি ধানের জাত নির্বাচন করেন। প্লটের ১০৮ জাতের আমন ধানের মধ্যে নির্বাচিত জাতগুলোর মধ্যে রয়েছে, চরবলেশ্বর, স্বর্ণা, কালোজিরা, খেজুরছড়ি, বাঁশফুল বালাম, লিলি, হরিধান, রুপেশ্বর, আঁশফল, জেসমিন, বৌসোহাগী, ডাকশাইল, পঙ্খীরাজ, সাদা চিনিকানাই, হোগলা, সাগরফনা, রানী স্যালোট। এছাড়া নতুন উদ্ভাবিত জাতগুলোর মধ্যে কৃষকের বেশী পছন্দের ধান হলো, লোকজ ধান, আলোধান, আরুণি ধান, গঙ্গাধান।