বটিয়াঘাটা : বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ টিকাদার’র বাসায় রাতের খাবারের চেতনা নাশক ঔষধ প্রয়োগ করে নগদ টাকা, স্বর্নালংকার, তিনটি মোবাইল ফোন ও পরিধেয় পোষাক নিয়ে পালিয়েছে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে। খোঁয়া মালামালের মূল্য প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা। জানা গেছে, উপজেলার জলমা ইউনিয়নের চক্রাখালী টিকাদার বাড়ির মৃত: সুধীর কুমার টিকাদার’র পুত্র উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ টিকাদার প্রতিদিনের ন্যায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করে রাত ১১ টার দিকে বাড়ি ফিরে তার স্ত্রীকে শয়ন কক্ষে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন দেখতে পায়। স্ত্রীকে সে আর ডাকাডাকি না করে নিজেই রান্না ঘরে গিয়ে ভাত বেড়ে খাওয়া-দাওয়া সেরে ঘুমানোর প্রস্তুতি নেয়। এরি মধ্যে তার কয়েক বার বমি হলে সেও গভীর ঘুমে টলে পড়লে শয়ন কক্ষে অচৈতন্য অবস্থায় ঘরের প্রধান কলাপসিবল গেট ও রুমের দরজা না আটকিয়ে স্ত্রীর পাশে গিয়ে শুয়ে পড়ে। রাত আনুমানিক ১ টার দিকে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা ওই রুমে ঢুকে আলমারিতে থাকা নগদ ৫৭ হাজার টাকা, স্ত্রীর হাতে থাকা ৬ আনা স্বর্ন দিয়ে বাঁধানো দুটি শাঁখা, গলায় ও কানে থাকা ১২ আনা ওজনের ১ টি স্বর্নের চেইন ও ৬ আনা ওজনের ১ টি কানের দুল, ২ টি এন্ড্রয়েড ও ১ টি বাটন ফোন সহ বেশ কয়েকটি পরিধেয় দামী শাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা ওই সময় পাশের রুমে থাকা তার অন্য মেয়েদের রুমের দরজা বাইরে থেকে আটকিয়ে দিয়ে নেয়। সকালে তার বড় মেয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী অমৃতা টিকাদার’র ঘুম ভাঙলে ঘরের দরজা বাইর থেকে আটকানো দেখে তার আত্ম চিৎকারে পাশ্ববর্তী প্রতিবেশীরা ছুঁটে এসে মেয়ের দরজা খুলে দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হয় এবং তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় সদ্য নির্বাচিত সংসদ সদস্য ননী গোপাল মন্ডল, অব: সচিব প্রশান্ত কুমার রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) আল- বেরুনী, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই গাইন, ওসি রিপন কুমার সরকার, ওসি(তদন্ত) সঞ্জয় দত্ত, ইউপি চেয়ারম্যান বিধান রায়, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বিনয় কৃষ্ণ সরকার, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রতাপ ঘোষ, সিনিয়র সহ-সভাপতি পরিতোষ রায় ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিক সহ আ’লীগ নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থলে ছুঁটে যান। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিলো।