বটিয়াঘাটার জলমা-কচুবনিয়াএলাকায় শহররক্ষা বেড়িবাঁধ হুমকিতে

প্রকাশঃ ২০২১-০৫-২৬ - ২০:৩৬

ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, বটিয়াঘাটা (খুলনা) : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় যশ এর প্রভাবে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার নদী উপকূলীয় অঞ্চলের ভাঙ্গন কবলিত মানুষ রয়েছে হুমকির সম্মুখীন ‌। গত দুইদিন যাবৎ ঘুর্ণিঝড় যশের প্রভাবে নদীর স্রোতের ও ঢেউয়ের তোড়ে উপজেলার জলমা ইউনিয়নের জলমা- কচুবনিয়া পুরোতন ফেরিঘাট সংলগ্ন শহররক্ষা বেড়িবাঁধ রয়েছে হুমকির মুখে । ভেঙ্গে গেলে প্লাবিত হতে পারে জলমা ইউনিয়ন সহ খুলনা শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা । এছাড়াও উপজেলার নদী উপকূলীয় স্পর্শ কাতর বেড়িবাঁধ গুলোর মধ্যে জলমার তেঁতুলতলা , পুটিমারী,মাথাভাঙ্গা,সুরখালীর বারোআড়িয়া , রায়পুর,গঙ্গারামপুরের বরনপাড়া, দ্বিপবরনপাড়া, ভান্ডাকোটের হালিয়া,শিয়ালীডাঙ্গা, বালিয়াডাঙ্গার বুঝবুনিয়া, বিরাট,আমীরপুরের শেওলাবুনিয়া এবং বটিয়াঘাটা সদর ইউনিয়নের বাজারসদর, ফুলতলা,হোগলবুনিয়া সহ বিভিন্ন এলাকা । গত দুইদিন বুধবার সারা রাত ধরে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই গাইন নেতৃত্বে স্থানীয় লোকজন শহররক্ষা বেড়িবাঁধ মেরামতের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল । খবর পেয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের জেলা প্রকৌশলী মোঃ সাইদুর রহমান ঘটনা স্থলে আসেন এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বালু ভরা কোম্বলের বস্তা ফেলে প্রাথমিক বাঁধটি সাময়িক ভাবে ঠেক দিয়েছে । তবে পূর্ণিমায় ও চন্দ্রগ্ৰহন থাকায় নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে । রাতে পানি আরো বৃদ্ধি পেয়ে স্পর্শ কাতর বেড়িবাঁধ ভেঙে ও উপচে পড়ে বিস্তির্ণ এলাকা প্লাবিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান এলাকার সচেতন মহল ‌। অপরদিকে ইয়াস ঘুর্ণিঝড়কে সামনে রেখে উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে অগ্ৰীম ব্যাপক প্রস্তূতি গ্ৰহন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে । মাইকিংয়ের মাধ্যমে সাইক্লোন শেল্টার গুলিতে নদী উপকূলীয় এলাকার ও মাটির ঘরের মানুষদের আশ্রয় দেয়া, কন্ট্রোল রুম খোলা, খাদ্য সহ বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে । এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ( ভূমি) আব্দুল হাই সিদ্দিকী, থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল কবীর, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, ইউপি সদস্য বিপ্রদাস টিকাদার কার্তিক, মহিলা ইউপি সদস্য তপতী বিশ্বাস সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা,ব্লু- গোল্ডের কর্মকর্তা , জনপ্রতিনিধি ও আসন্ন ইউপি নির্বাচনে অংশ নেবে সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে নেমে ব্যাপক খোঁজ খবর নেন । এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের জেলা প্রকৌশলী মোঃ সাইদুর রহমানের কাছে শহররক্ষা বেড়িবাঁধের ভাঙ্গন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে শহররক্ষা বেড়িবাঁধটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বালুর বস্তা দিয়ে ঠেক দেয়া হচ্ছে । উক্ত শহররক্ষা বেড়িবাঁধটি স্থায়ীভাবে করতে জাইকা ব্লোকের বরাদ্দ দিয়েছে । আগামীতে টেন্ডার দেয়া হবে এবং টেন্ডার দেয়া হলে বাঁধটির স্থায়ীভাবে ব্লোলকের কাজ শুরু হবে ।