খুলনা : খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার সাথে সংযুক্ত বিরাট খেয়াঘাট থেকে ভান্ডারকোট ইউনিয়ন পরিষদ গামী ৮ কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘ ১৪ মাস খুড়ে ফেলে রাখা হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রভাবশালী ব্যক্তি ঠিকাদার হওয়ায় উপজেলা প্রশাসন চাপ সৃষ্টি করতে পারছে না। ফলে বটিয়াঘাটার পূর্ব পারের তিন ইউনিয়নসহ ফকিরহাট উপজেলার মানুষও প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
ভ্যানচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ভালো রাস্তা খুড়ে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। এখন ভ্যান চালাতে খুবই কষ্ট হয়। প্রায়ই নষ্ট হয়ে যায়। বর্ষাকাল এলে এ রাস্তা দিয়ে কোন ভাবেই চলাচল করা যাবে না। রাস্তা খুড়ে এভাবে কেন ফেলে রাখা হয়েছে জানিনা।
রাস্তার দুপাশে বসবাসকারীদের অভিযোগ ভালো রাস্তা খুড়ে চলাচলের অনুপযোগী করে রাখা হয়েছে। প্রচন্ড ধুলায় সমস্ত ঘর-বাড়ি নোংরা হয়ে থাকে। ধুলার কারণে শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অনেকের শ^াসকষ্ট দেখা দিয়েছে।
রাস্তা সংস্কারের নামে ঠিকাদারের খামখেয়ালীপনায় দুর্ভোগের শিকার বিভিন্ন সচেতন মানুষ উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খান বলেন, মানুষের দুর্ভোগ দুর্দশা দেখাই জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব। বটিয়াঘাটা উপজেলার পূর্বপারে ভান্ডারকোট, বালিয়াডাঙ্গা, আমীরপুর ইউনিয়নসহ ফরিকরহাট উপজেলার বিশেষ করে শুভদিয়া, দিয়াপাড়া এলাকার মানুষও এ পথে যাতায়াত করে থাকেন। রাস্তাটি সংস্কারের নামে এভাবে ফেলে রাখা মোটেই ঠিক নয়। তিনি বলেন, উপজেলা ইঞ্জিনিয়রকে বলা হয়েছে দ্রুত রাস্তার কাজ শেষ করতে।
এব্যপারে উপজেলা প্রকৌশলী রেজওয়ান আহম্মেদ বলেন, ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কারাধীন এ রাস্তার কাজ ৩০ মার্চের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ ছিল। তিনি বলেন, ঠিকাদারকে আবারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে দ্রুত রাস্তার কাজ শেষ করতে।