ইন্দ্রজিৎ টিকাদার,বটিয়াঘাটা : বটিয়াঘাটা উপজেলার হাটবাড়িয়া বড় ও হাতালবুনিয়া মৌজার ডিজিটাল জরিপ কার্য গত ১ ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে জরিপকার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে বটিয়াঘাটা ও জলমা ইউনিয়ন সম্মেলন কক্ষে পৃথক পৃথক দুটি গনসচেতানা মূলক সভা অনুষ্টিত হয়। জেলা সেটেলমেন্ট অফিসারের নির্দেশে উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসার আহব্বানে সংশ্লিষ্ট জরিপ কতৃপক্ষ, উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাবৃন্দ, উপজেলা পরিষদ,স্বঃস্বঃ ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট মৌজা গুলির ভূমি মালিকগনের সাথে জরিপ কার্যক্রম সম্পর্কে করনীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়। জরিপ কার্য পরিচালনা কতৃপক্ষ সম্প্রতি উক্ত দুটি মৌজার বাউন্ডরী মাপের কার্য সম্পন্ন করেছে। খুলনা ১ আসনের সাংসদ পঞ্চানন বিশ্বাসের বাড়ির পাশের মৌজার সীমানা পিলার থেকে দাগে দাগে ও খতিয়ানে বাউন্ডয়ারী মাপের কার্যক্রম চালাছে। এ দিকে জরিপ কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট মৌজা দুটির ভূমি মালিকগন কে স্বঃস্বঃ কাগজপত্র দখল সহ যাবতীয় প্রমাণাদি নিয়ে হাজির থাকার জন্য উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যদিকে জরিপ কার্যক্রমকে সামনে রেখে সৃষ্টো হচ্ছে ছোট-বড় দালাল চক্র সিন্ডিকেট। উক্ত দালাল চক্র সিন্ডিকেট ইতিমধ্যে জরিপের খদ্দের ধরার মাধ্যমে অগ্রীম বাণিজ্যর খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর দালাল চক্র সিন্ডিকেট কে সহযোগীতা করছে উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের কিছু অসাধু কর্মচারী বৃন্দ। এছাড়া জরিপ কার্যক্রম জলমা ইউনিয়নের জলমা, তেতুঁলতলা, রাঙ্গেমারী ও মাথাভাঙ্গা মৌজায়ও জরিপ শুরু হতে যাচ্ছে। জরিপ কতৃপক্ষ জলমা ইউনিয়নের উক্ত ৪টি মৌজা সীমানা পিলার স্থাপন হলে বাউন্ডারী মাপ শুরু করবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। এ দিকে জরিপকে সামনে রেখে দালাল চক্র সিন্ডিকেট বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ থেকে স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানায় ওয়ারেশ কায়েম সনদপত্র, ওয়ারেশ কে অনুপস্থিত করে অথবা মেরে ফেলে বা নিরুদ্দেশ দেখিয়ে ওয়ারেশ কায়েম সনদপত্র, মিথ্যা মৃত্য সনদপত্রসহ ভূয়া মামলা ও রায় ডিক্রি দেখিয়ে অথবা জাল কাগজ পত্র সৃষ্টি করে রেকর্ড করানোর পায়তারা করছে। অনেকে আবার ভূয়া ভুমিহীন সেজে অনিয়ম তান্ত্রিক ভাবে অবৈধ পন্থায় ১ সনা ডি,সি, আর ও বন্দোবস্ত দেখিয়ে রেকর্ড দেখানোর চেষ্টাও করছে। অনেক কে আবার ভূয়া ভূমিহীন সনদপত্র দিয়েছে স্বঃস্বঃ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বৃন্দ। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার শফিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করলে বলেন, উপজেলার হাটবাড়িয়া বড় ও হাতালবুনিয়া মৌজায় জরিপ কার্যক্রম চলছে। বর্তমানে প্লটের বাউন্ডারী মাপ চলছে। এরপর কাগজপত্র ও রেকর্ড দেখা হবে।
দালালদের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ডিজিটাল জরিপে জামির মালিক সরাসরি কাগজপত্র ও প্রমানাধি নিয়ে উপস্থিত সরাসরি থাকতে হবে। এখানে মাধ্যমের কোন প্রয়োজন নেই ভুল হলে সংশোধনের সুযোগের অনেক ধাপ রয়েছে তাই হতাশ হবার কিছু নেই। এ ব্যাপারে উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের পক্ষথেকে সকলের সহযোগীতা কমনা ও দালালদের থেকে দুরে থাকার আহব্বান জানিয়েছেন।