আব্দুল হামিদ, বটিয়াঘাটা (খুলনা): খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার খড়িয়া নদীর উপর ব্রীজ অভাবে তিন ইউনিয়নের ১৩ গ্রামের ছাত্র-ছাত্রী ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যাতায়াত করে। সেই মান্দাতা আমল থেকে এভাবে যাতায়াত করলেও কোন জনপ্রতিনিধির দৃষ্টিতে আজও আসেনি। গঙ্গারামপুর, বটিয়াঘাটা ও সুুরখালী ইউনিয়নের বয়ারভাঙ্গা, আন্দারিয়া, খড়িয়া, দেবীতলা, বসুরাবাদ, আমতলা, বাদামতলা, সুখদাড়া, গঙ্গারামপুর, কাতিয়ানাংলা, ফুলতলা, মাইলমারা, তিতুখালী গ্রামের বিভিন্ন নারী পূরুষ ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা এ পথেই যাতায়াত করে। বর্ষা মৌসুমে পারাপারের এক মাত্র বাঁশের সাঁকোটি ডুবে যায়। তখন দেবীতলা গ্রামের পার থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়া এক প্রকার বন্ধ হয়ে যায়। এ পার থেকে ও পারে নৌকায় চড়ে বাজার করতে যেতে হয়। অনেক সময় ছ্ত্রা ছাত্রীরা বই-খাতা নিয়ে সাঁকো থেকে পড়ে ভিজে বাড়ি ফিরে যায়। বয়ারভাঙ্গা বালিকা মহাবিদ্যালয়, রাসমোহন বালিকা বিদ্যালয়, বিশ্বম্বর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বয়ারভাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার মান ভাল হওয়ায় বিভিন্ন ইউনিয়নের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী এ স্কুল-কলেজে আসে। বদ্ধ এ নদীর উপর শত বছর ধরে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার হয়ে আসছে। পাকিস্তান আমলে যোগাযোগ মন্ত্রী খান এ সবুর বয়ারভাঙ্গা বিশ্বম্বর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে ব্রীজ নির্মানের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এমনকি পরবর্তীতেও কোন জনপ্রতিনিধির চোখে পড়েনি। বিশ্বম্বর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাঞ্চিলাল মল্লিক জানান, কয়েক শত ছাত্রছাত্রী এ বাঁশের চাঁর (সাঁকো) পার হয়ে স্কুলে আসে। অনেক সময় চাঁর থেকে পড়ে ভিজে বাড়ি ফিরে যায়। প্রধান শিক্ষক দাবী করেন, ব্রীজ নির্মাণ না হলেও একটি কাঠের সাঁকো তৈরী হলে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপদে স্কুলে যাতায়াতের সুযোগ হবে। স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের দাবী, দ্রুত ব্রীজ নির্মাণ হলে শত বছরের অভীষাপ থেকে মুক্তি তারা মুক্তি পাবে। তবে স্থানীয়রা বলছেন ব্রিজের নীচে শ্লোভের জায়গা না থাকায় নির্মাণ কাজ ব্যহত হচ্ছে।